কাটোয়া শহরে ষাঁড়ের দাপট নতুন কিছু নয়। একাধিকবার পথচলতি মানুষ জখম হয়েছে ষাঁড়ের গুঁতোয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে ভর্তিও হতে হয়েছিল হাসপাতালে। গত একমাসে ষাঁড়ের গুঁতোয় জখম হয়েছেন ২৩ জন। এমনকী মাসখানেক আগে কাটোয়া স্টেশন চত্বরে দুই ষাঁড়ের তুমুল লড়াই বাঁধে। সেই লড়াইয়ে মৃত্যুও হয় একটি ষাঁড়ের। মূলত কাটোয়া স্টেশন বাজার এলাকায় ঘুরতে দেখা যায় এদের। ব্যস্ত সময়ে শহরের রাস্তা জুড়ে থাকার কারণেও চরম সমস্যা হয়। এ নিয়ে একাধিকবার সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। পুরসভা বারবারই জানিয়েছে, পদক্ষেপ করার কথা। কিন্তু ষাঁড় নিয়ে তেমন কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি পুরসভাকে।
একবার রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো গোরু ধরে খোঁয়াড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ষাঁড়ের ক্ষেত্রে দেখছি, দেখব করেই কাজ চলছে বলে অভিযোগ। এপিডিআর-এর তরফে শহরে পোস্টার সাঁটিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দায় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমেও বহু মানুষ প্রশ্ন তুলছেন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। কাটোয়ার মহকুমাশাসক অর্চনা ওয়ানখেড়ে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘পুরসভা ও অন্যান্য বিভাগগুলি নিয়ে আলোচনায় বসব। নিশ্চিত ভাবে এর কোনও সমাধানসূত্র খুঁজে পাওয়া যাবে।
‘ অন্য দিকে, পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর দাস বলেন, ‘আমরা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে কথা বলছি তাদের খামারে ষাঁড়গুলোকে রাখার জন্য। কাটোয়াতেও কোনও একটি জায়গায় ব্যবস্থা করা যায় কিনা দেখা হবে।’ পাশাপাশি কী ভাবে ষাঁড়গুলো রাস্তায় চলে আসছে, কারা ছেড়ে দিয়ে যাচ্ছে, সে দিকেও নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছে পুরসভা।
-আমরা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে কথা বলছি তাদের খামারে ষাঁড়গুলোকে রাখার জন্য। কাটোয়াতেও কোনও একটি জায়গায় ব্যবস্থা করা যায় কিনা দেখা হবে- সমীর দাস, পুরসভার চেয়ারম্যান