এই সময়: উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় জার্মানির লাইপজ়িগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে বেলগাছিয়ার পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার বেলগাছিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত একটি সেমিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে এই গাঁটছড়ার প্রস্তাব দেন লাইপজি়গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ তথা ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেল্‌থের অধিকর্তা উই ট্রুয়েন। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতের অতিমারী এড়াতে ও পৃথিবীকে সুরক্ষিত রাখতে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশকে এক ও অভিন্ন স্বাস্থ্যভাবনায় যুক্ত করে যে নিরন্তর নজরদারি ও গবেষণা প্রয়োজন, সেই লক্ষ্য পূরণেই আন্তর্জাতিক যৌথ-গবেষণার উদ্যোগ ভীষণ জরুরি।’ স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রস্তাব লুফে নেন প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

পূর্ব ভারতের প্রাণী বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যশালী এই পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়। তার সঙ্গে জার্মানির লাইপজি়গ বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে কী ভাবে একযোগে গবেষণামূলক কাজ করতে পারে, নিজের ভাষণে শুক্রবার তার রূপরেখা তুলে ধরেন জার্মানির ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ল্যাবরেটরি হেড আহমেদ ওয়াহেদ। জার্মানির ওই দুই বিশিষ্ট গবেষক তাঁদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেন ‘স্ট্রেংদেনিং ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন টু অ্যাড্রেস গ্লোবাল ওয়ান হেল্‌থ চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক ওই সেমিনারে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেলগাছিয়ার প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শ্যামসুন্দর দানা, রেজিস্ট্রার পার্থ দাস, ভেটেরিনারি ফ্যাকাল্টির ডিন বিনয় শীল ও সঞ্চালক তথা মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক সিদ্ধার্থ জোয়ারদার-সহ অন্যান্য শিক্ষক-চিকিৎসক এবং ভেটেরিনারি পড়ুয়ারা। উপাচার্য জানান, জার্মানি ও ভারতের এই দুই বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রামক রোগের উপর কিছু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা-প্রকল্প যৌথ ভাবে হাতে নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে এই সেমিনার থেকে। আগামী দিনে করোনার মতো অতিমারী রুখতে এবং সম্ভাব্য অতিমারীর প্রস্তুতি ও মোকাবিলায় একযোগে কাজ করবে দু’দেশের দুই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version