তদন্তকারী অফিসারকে ভর্ৎসনা
প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদ ও মারধরের ঘটনার পর আরামবাগের বাসিন্দা এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সেই মামলায় পুলিশি তদন্ত গাফলতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন মৃতের স্ত্রী মঙ্গলা রায়। সেই মামলার শুনানিতে এদিন আরামবাগ থানার তদন্তকারী আধিকারিকের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্ট।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর প্রশ্ন, ‘অজ্ঞান অবস্থায় নির্যাতিতকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তদন্তরকারী আধিকারিকরের। অজ্ঞান অবস্থায় নির্যাতিতকে চিকিৎসক ছেড়ে দিলেন, আর তিনি বাড়ি চলে এলেন! আইও মিথ্যে কথা বলছেন। তিনি কাকে বোকা বানাচ্ছেন! কতগুলো তদন্ত এর আগে করেছেন? আপনাদের জন্য তদন্ত নিয়ে এত প্রশ্ন ওঠে। এটা তদন্ত! আপনার চাকরি থাকা উচিত নয়।’
তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি সেনগুপ্ত আরও বলেন, ‘প্রতিবেশীদের মধ্যে গোলমাল হয়। মঙ্গলা রায়ের স্বামীকে পিটিয়ে মারা হয়। প্রথমে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার বেশ কয়েকদিন পর তিনি মারা যান। অথচ পুলিশ সেই মামলায় খুনের ধারা প্রয়োগ করেনি। কোনও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। এমনকী মৃত ব্যক্তির বয়ান অবধি নেওয়া হয়নি।’
হাইকোর্টের নির্দেশ
এই মামলার শুনানির পর কঠোর অবস্থান নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, ‘হাইকোর্ট মনে করে এই মামলার আইও তদন্তের কিছুই জানেন না। এমনকী সাক্ষ্য গ্রহণের পদ্ধতি সম্পর্কেও তিনি অজ্ঞ। এটা তদন্তকারী অফিসারের ইচ্ছেকৃত ভাবে তদন্ত নষ্ট করার একটা চাল। তাঁর ভূমিকার জন্য অনেক তথ্য প্রমাণ নষ্ট হয়েছে বলে মনে করে আদালত। এই নির্দেশের কপি রাজ্য পুলিশের ডিজি ও হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপারকে পাঠাতে হবে। তাঁরা এই তদন্তকারী অফিসারকে নিয়ে পদক্ষেপ করবেন।’
ঠিক কী ঘটনা?
হুগলির আরামবাগে দুই প্রতিবেশি বিবাদের ঘটনার এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। বাড়ি ফিরে আসার কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।