ডিসেম্বর মানেই পাহাড়ের হাতছানি। লাগেজ গুছিয়ে বেরিয়ে পরা কাঞ্চনজঙ্ঘার টানে। হাঁড় কাপুনি ঠান্ডায় গরম চায়ের কাপ হাতে তুষার শুভ্র হিমালয়ের শৃঙ্গ দর্শনের জন্য পাগল হয়ে ওঠেন পর্যটকরা। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি, প্রতিবেশি রাজ্যেও বাংলা থেকে পর্যটকদের ভিড় জমে ভালোই। সিকিম ধসের পর থেকে সেই প্রবাহে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। সংকটে পড়েছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শিলিগুড়ির গাড়ি চালকরা। তবে ফের চেনা ছন্দে ফিরছে সিকিমের পর্যটন। হাসি মুখ গাড়ির চালকদের মুখেও।

উত্তর সিকিমের জন্য পর্যটকদের ভিড়

খুলে গিয়েছে উত্তর সিকিম। অনেকদিন পর পর্যটকেরা এখন সিকিমমুখী হচ্ছেন। পর্যটকেরা সিকিম যাওয়া শুরু করতেই খুশি বাংলার গাড়ি চালকরা। NJP থেকে অনেক গাড়ি চালক সিকিমে পৌঁছে দেন পর্যটকদের। তবে মাঝে সিকিমে হড়পা বানের জেরে পর্যটকেরা সিকিম ট্যুর বাতিল করছিলেন। যে কারণে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন গাড়ি চালকেরা। এমনকি পুজোর আগে মাথায় হাত পড়েছিল ট্যুর অপারেটরদের। তবে ডিসেম্বর থেকে সিকিম প্রশাসন পর্যটকদের জন্য দরজা খুলে দিতে এখন কিছুতা স্বস্তিতে গাড়ি চালক থেকে শুরু করে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মহল।

বাড়ছে গাড়ি বুকিংয়ের সংখ্যা

গত কয়েকদিনে পর্যটকদের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে বলেই জানা গিয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পর্যটকদের ঢল নামবে বলেই মনে করছেন ট্যুর অপারেটরা। শিলিগুড়ির বাসিন্দা বিকাশ রায় পেশায় গাড়ি চালক। এনজেপি থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং, সিকিম, ডুয়ার্সে গাড়িতে পর্যটকদের নিয়ে যান। তিনি জানান, সিকিমে হড়পা বানের পর থেকে পর্যটক সংখ্যা কমে গিয়েছিল। তবে ডিসেম্বর আসতেই আবার পর্যটকেরা আসছেন। সামনে বড়দিন, নতুন বছর। পর্যটক আরও বাড়বে।

গাড়ির ভাড়া কেমন?

এদিকে এখন শিলিগুড়ির এনজেপি থেকে গ্যাংটকে যেতে ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা ভাড়া লাগছে। অন্যদিকে বড় গাড়ির ক্ষেত্রে ভাড়া পড়ছে প্রায় ৭-৮ হাজার টাকা। মাঝে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে যেতে হতো। জ্বালানির কথা মাথায় গাড়ির ভাড়া তখন বাড়ানো হয়েছিল। তবে ফের জাতীয় সড়ক চালু হয়ে যাওয়ায় ফের পুরনো ভাড়াতেই ফিরে এসেছেন গাড়ি চালকরা।

SBSTC Bus : দুর্গাপুর-আসানসোল থেকে আরও সহজে পৌঁছন শিলিগুড়ি, সরকারি বাসে ভাড়া-সময়-বুকিং পদ্ধতি জানুন এক ক্লিকেই
অন্যদিকে, ট্যুর অপারেটররা জানান, প্রচুর পর্যটক দার্জিলিং, কালিম্পং ও সঙ্গে সিকিম ঘুরে থাকেন। কিছু উত্তর সিকিমে বিপর্যয়ের পর অনেকেই আর আসেননি। এতে পর্যটন ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছিল। এখন ধীরে ধীরে ঠিক হচ্ছে অবস্থা। ডিসেম্বরে প্রচুর বুকিং রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ভালো সংখ্যক পর্যটক আসবেন এই বছরের মরশুমে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version