এই সময়, বাগদা: একজন-দু’জনকে নয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাগলা কুকুরের কামড় খেলেন ৪৯ জন। যা নিয়ে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত প্রবল আতঙ্কে কাটান বাগদা ব্লকের আষাঢ়ু, হেলেঞ্চার বাসিন্দারা। লোকজন ভয়ে ঘর থেকে বেরোনো বন্ধ করে দেন। পাগলা কুকুরের কামড় খেয়ে সকলেই ভ্যাকসিন নিতে ছোটেন। খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরেও। শেষে বুধবার দুপুরে পাগলা কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন গ্রামের বাসিন্দারাই।

বাগদা ব্লকের আষাঢ়ু এবং হেলেঞ্চায় মঙ্গলবার থেকে একটি পাগলা কুকুর দাপিয়ে বেড়িয়েছে। কুকুরের উপদ্রবে পাগল পাগল অবস্থা। যাকে সামনে পাচ্ছে, তাকেই কামড়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে। লোকজন ধাওয়া করলে কুকুরটি পালাচ্ছে। খানিক বাদে খবর আসছে অন্য জায়গায় ফের কামড় বসিয়েছে। যেমন বাজারে বা দোকানে কেউ কেনাকাটা করতে এসেছেন, কেউ বা রাস্তায় যেতে যেতে মোবাইলে কথা বলছেন, কেউ প্রাইভেট টিউশন পড়ে ফিরছে- কুকুরের কামড় থেকে বাদ পড়েননি কেউ। আচমকা পিছন থেকে এসে পাগলা কুকুর কামড়ে পালিয়েছে।

আষাঢ়ু গ্রামের বাসিন্দা পল্লব বিশ্বাস বলেন, ‘আমি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলাম। আচমকাই পাগলা কুকুরটা এসে পায়ে কামড়ে দিয়ে চলে যায়।’ দেবু বৈরাগী বলে আর একজন বলেন, ‘আমার ছেলে পড়ে ফিরছিল। ওকেও কুকুরে কামড়েছে।’

এ ভাবেই মঙ্গলবার থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত পাগলা কুকুরের কামড়ে জখম হয়েছেন ৪৯ জন। আক্রান্তরা সকলেই বাগদা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। একটা সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন নেওয়ার ভিড় জমে যায়। এই প্রসঙ্গে বাগদা ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব মল্লিক বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৪৯ জনকে কুকুরে কামড়ানোর ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর ছিলাম।’

আক্রান্তদের তালিকায় আট থেকে আশি সবাই রয়েছেন। পাগলা কুকুরের কামড়ে জখম হয়েছেন বাগদা থানার সামনে ডিউটিরত এক সিভিক ভলান্টিয়ারও। লোকজন ঘর থেকে বেরোনো প্রায় বন্ধ করে দেন। যাঁরা একান্তই প্রয়োজনে বেরিয়েছেন সঙ্গে লাঠি রেখেছেন। পাগলা কুকুরের আতঙ্কে দিশেহারা গ্রামের বাসিন্দারা তক্কে তক্কেই ছিলেন। বুধবার কুকুরটিকে ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলেন আতঙ্কিত গ্রামের বাসিন্দারা।

বাগদা উত্তর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পরিতোষ সাহা বলেন, ‘পাগলা কুকুরের উপদ্রবের বিষয়টি আমরা বন দপ্তরকে জানিয়েছিলাম। তবে বন দপ্তর কিছু করার আগেই, এ দিন বিকেলে এলাকার মানুষজন কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version