৫৫ আসন বিশিষ্ট এই বাসগুলিতে অত্যাধুনিক সমস্ত পরিষেবা রয়েছে। প্রতিটি বাসের দাম ৪২ লাখ। বড়দিনের আগেই এই বাসগুলি রাস্তায় নামবে বলে জানান NBSTC চেয়ারম্যান পার্থপ্রতীম রায়। সূত্রের খবর, NBSTC মোট ৭৩টি বাস পেতে চলেছে। এরমধ্যে ৪৩ টি ডিজেল চালিত বাস ও ৩০টি CNG বাস।
এই প্রসঙ্গে NBSTC-র চেয়ারম্যান পার্থপ্রতীম রায় বলেন, ‘আমাদের মোট ৭৩টি বাস আসার কথা। তার মধ্যে ৪৩টি ডিজেল বাস এবং বাকিগুলি CNG বাস। ৪৩টি ডিজেল বাসের মধ্যে ৩১টি বাস আমরা হাতে পেয়েছি। বাকি ১২টি বাস হাতে আসছে সময় লাগবে। অন্যান্য CNG বাস হাতে আসতে সময় লাগবে। সেগুলো নিয়ে কথা বার্তা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে কিনেছি। কয়েকটি সংস্থা বরাত পেয়েছে। ৪২ লাখ করে এক একটি গাড়ি পড়েছে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দের জন্য বাসগুলি সুন্দর। পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্যও বাসগুলিতে বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। সামনে এবং পিছনে একটি করে একটি করে ক্যামেরা লাগানো থাকছে। পাশাপাশি ফায়ার অ্যালার্ম বটন-প্যানিক বটন রয়েছে। এছাড়াও ইঞ্জিনের আধুনিক সমস্ত বিষয় রয়েছে।’
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কবে থেকে এই বাসগুলি সচল হবে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছিল, ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে বাসগুলি বিভিন্ন ডিপোতে পাঠানো হবে। উত্তরবঙ্গের ২১টি ডিপোতে বাসগুলি দেওয়া হবে। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের পরিবহণ পরিষেবার ক্ষেত্রে অনেকাংশেই সুবিধা হতে চলেছে।
উল্লেখ্য, এই প্রসঙ্গে কোচবিহারের রাজীব বর্মন বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের থেকে বিভিন্ন ধরনের পরিষেবার প্রত্যাশা করি। স্বাভাবিকভাবেই তার মধ্যে অন্যতম পরিবহণ পরিষেবা। যদি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত সহজ হয় সেক্ষেত্রে সাধারণ চাহিদার পাশাপাশি ব্যবসা এবং পেশাগত ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে।’
অন্যদিকে, মিতালি রাই নামক এক তরুণীর কথায়, ‘মহিলাদের সুরক্ষার জন্য বাসগুলিতে CCTV অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমরা অত্যন্ত খুশি যে এই বাসগুলিতে সেই সুবিধা থাকছে। কেউ বাসে মহিলাদের উত্যক্ত করার আগে অন্তত দু’বার ভাববে।’ বড়দিনের আগে এই বাসগুলি আসায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি হাওয়া বইছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।