এই সময়: দোতলা থেকে পড়ে মেরুদণ্ড ভেঙেছিল ৩২ বছরের যুবকের। ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত পক্ষাঘাতের কবলে পড়েছিল শরীর। কঠিন অস্ত্রোপচারের পর সেই ব্যক্তিকে পুনর্জীবন দিলেন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আপাতত ভালো আছেন ওই রোগী। অস্ত্রোপচারের ১৫ দিন পরে অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হওয়ায় সম্প্রতি ছুটি দেওয়া হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের প্রতীক মিত্রকে।

নভেম্বরের মাঝামাঝি নির্মীয়মাণ একটি বিল্ডিংয়ের দোতলা থেকে প্রতীক পড়ে যান। মারাত্মক আঘাত লাগে তাঁর মেরুদণ্ডে। যন্ত্রণার বদলে শরীরটা অবশ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। জ্ঞানও হারান তিনি। ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে প্রতীককে কলকাতায় ইএম বাইপাস লাগোয়া ডিসান হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে আনেন তাঁর পরিজনরা। দেখা যায়, সার্ভাইক্যাল স্পাইনের, অর্থাৎ ঘাড়ের কাছে শিরদাঁড়ার একটি হাড় ভেঙেছে তাঁর। এবং ভেঙে যাওয়া হাড়টি এমন একটি জায়গায় গিয়ে আটকেছে, যার ফলে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্নায়ু। সেনসরি নার্ভ ও মোটর নার্ভ অকেজো হয়ে পড়ায় শরীর অবশ।

দেরি না-করে ডিসানের নিউরো-সার্জেন পার্থসারথি মণ্ডল স্থানচ্যুত হাড়ের টুকরোটি স্পাইনাল ট্র্যাকশন দিয়ে দ্রুত সঠিক অবস্থানে আনার ব্যবস্থা করেন। পরের দিন অস্ত্রোপচারে জোড়া হয় সেই হাড়। পার্থসারথি জানান, অস্ত্রোপচারের তিন দিনের মাথায় ধীরে ধীরে সাড় ফিরে পেতে শুরু করেন প্রতীক। এত দ্রুত পুরোটা সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছিল বলেই রোগী চিরতরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েননি। অপারেশনের ১৫ দিন পর প্রতীক নিজেই হেঁটে তাঁর চেম্বারে ঢোকায় অবাক হন খোদ চিকিৎসক। এখন চলছে ফিজ়িয়োথেরাপি। চিকিৎসকরা আশাবাদী, ধীরে ধীরে একেবারে স্বাভাবিক জীবনে প্রতীক ফিরতে পারবেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version