মদনকে বাইপ্যাপ সাপোর্ট
বৃহস্পতিবার বিকেলের পর হঠাৎ করেই তৃণমূল বিধায়কের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কোনও ঝুঁকি নেননি চিকিৎসকরা। মদনকে দ্রুত এসএসকেএমের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয় তাঁকে। তারপর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
হঠাৎ অসুস্থতা বাড়ে তৃণমূল বিধায়কের
চলতি সপ্তাহে সোমবার রাতে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। উডবার্ন ওয়ার্ডের ২০৬ নম্বর কেবিনে তাঁকে ভর্তি করে শুরু হয় চিকিৎসা। বিধায়কের চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক অতনু পাল। ঠান্ডা লেগে তৃণমূল বিধায়কের নিউমোনিয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলের পর হঠাই অসুস্থ বোধ করে তৃণমূল বিধায়ক। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা হঠাৎ করে কমে যাওয়ার কারণে তিনি জ্ঞান হারান। রক্তে অক্সিজেন কমে যাওয়ার পরই তৃণমূল বিধায়কের চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে থাকা চিকিৎসকরা তাঁকে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন।
মদনের চিকিৎসার ব্যবস্থা মমতার
সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মঙ্গলবার একাধিক পরীক্ষা করানোর জন্য তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরীক্ষা করতে যাওয়ার সময় তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘বুকে খুব ব্যথা। নিউমোনিয়ার সমস্যা রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ১৫ দিন ধরে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছি, লাভ হয়নি। সঠিক সময়ে হাসপাতালে না এলে কিছু হয়ে যেত। মুখ্যমন্ত্রীকে অসুস্থতার কথা বলি। তিনি অরূপকে (মন্ত্রীর অরূপ বিশ্বাস) বলে হাসপাতালে ভর্তির বন্দোবস্ত করেন। দলই আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেছে।’
হাসপাতালের আগে বিতর্ক বাড়ান মদন
তৃণমূল নবীন-প্রবীণ তত্ত্ব নিয়ে কয়েকদিন ধরে সংবাদমাধ্যমে আলোচনা চলছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। ক্রিকেটের প্রসঙ্গ টেনে ঘুরিয়ে নবীনদের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন তৃণমূল বিধায়ক। মদন বলেন, ‘গাওস্কার অবসর না নিলে সচিন জায়গা পেতেন না, ধোনি না ছাড়লে রোহিত, শামিরা জায়গা পেতেন না। ঠিক তেমনই প্রবীণদের কোনও পদ দীর্ঘদিন আটকে না রেখে উপদেষ্টমণ্ডলীতে গিয়ে দলকে ভাল উপদেশ দেওয়া উচিত।’