কী জানা যাচ্ছে?
দীর্ঘদিন ধরেই অরাজকতার স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছিল উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ। হাসপাতাল চত্বরে বেআইনি পার্কিং থেকে দালালরাজ সবকিছুই অবাধে চলছিল। অবশেষে রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়ের উদ্যোগে অরাজকতা বন্ধ হতে চলেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে। হাসপাতাল চত্বর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হয়েছে। বেআইনি গাড়ি পার্কিং সরানো হয়েছে।
অন্যদিকে মন্ত্রীর এই উদ্যোগে খুশি রোগীর আত্মীয় পরিজন থেকে সাধারণ মানুষ। বছর ৪ আগে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালকে সুপার স্পেশালিটি হাসাপাতালে উন্নীত করা হয়ছিল। রোগীদের আরোও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে ২ বছর আগে এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত করা হয়। তবে হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজে উন্নতি হলেও হাসপাতাল জুড়ে চলতে থাকা অরাজকতা একটুকুও কমেনি বলে অভিযোগ।
কী অভিযোগ ছিল?
হাসপাতাল চত্বরে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স থেকে বেসরকারি যানবাহন পার্কিং, হাসপাতালের ভিতরে দালালরাজ অবাধে চলতে থাকে। অভিযোগ, এইসবের কারণে মাঝে মধ্যেই হয়রানির শিকার হতে হত রোগী ও তাঁদের আত্মীয় পরিজনদের। আরও অভিযোগ, হাসপাতালে রুগী কল্যান সমিতি থাকলেও তারা সক্রিয় না থাকায় হাসপাতালের অরাজকতা চরমে উঠেছিল। আর এই অরাজকতা বন্ধে গত মাসে নতুন রোগী কল্যাণ সমিতি তৈরি করা হয়।
রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়কে সমিতির গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়। আর তারপর থেকেই হাসপাতালকে নতুনভাবে সাজানোর উদ্যোগ নেন মন্ত্রী পুলক রায়। হাসপাতালের প্রবেশ দ্বারে এবং বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন করা হয়। হাসপাতাল চত্বরে থাকা বাগান সাজানোর কাজ শুরু হয়। বেসরকারি যানবাহন সরিয়ে দেওয়া হয়। বেহাল রাস্তা সারানোর কাজ শুরু হয়।
কী জানালেন মন্ত্রী?
শুধু দায়িত্ব দিয়ে নয়, নিজের কাজের ফাঁকে হাসপাতালে হাজির হয়ে সবকিছু লক্ষ্যও রাখছেন মন্ত্রী পুলক রায়। মন্ত্রী পুলক রায় জানান, মেডিক্যাল কলেজকে ঢেলে সাজানো হবে। স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনওরকম কম্প্রোমাইজ করা হবেনা। এমনকি হাসপাতালে কোনওভাবেই দালালরাজ চলতে দেওয়া হবেনা বলে স্পষ্ট বার্তা দেন মন্ত্রী পুলক রায়।