চেক জাল ও আধিকারিকদের সই নকল করে পুরসভার প্রায় ১৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারকরা। ঘটনায় শোরগোল হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া পুরসভায়। ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পুরসভার তরফে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

কী জানা যাচ্ছে?

রাজ্যে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন প্রতারণার খবর উঠে আসছে প্রতিদিনই। সাধারণ মানুষ সাইবার ক্রাইম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রতারণার সম্মুখীন হচ্ছেন। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল গোটা পুরসভা। পুরসভার চোখে ধুলো দিয়ে গায়েব লাখ লাখ টাকা। প্রতারকরা উত্তরপ্রদেশ থেকে ১৫ টি জাল চেকের মাধ্যমে এই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ইতিমধ্যে পুরসভা কতৃপক্ষ উলুবেড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

কী ভাবে হল প্রতারণা?

জানা গিয়েছে, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উলুবেড়িয়া শাখায় উলুবেড়িয়া পুরসভার একটি অ্যাকাউন্ট আছে। উলুবেড়িয়া পুরসভা সূত্রে খবর, গত ২৯ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষ উলুবেড়িয়া পুরসভাকে জানায় তাদের কাছে উলুবেড়িয়া পুরসভার আসা দুটি চেকের নম্বর এক এবং দুটি চেকের টাকার অঙ্ক এক লেখা আছে। এরপরেই প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসে। চেক দুটি পরীক্ষা করে দেখা যায় দুটি চেক জাল এবং চেকে থাকা দুই আধিকারিকের সইও নকল করা হয়েছে। শুধু তাই নয় দেখা যায় ইতিমধ্যে ১৫ টি জাল চেকের মাধ্যমে প্রতারকরা দফায় দফায় ১৪ লাখ ৬৯ হাজার ৯৭৭ টাকা উলুবেড়িয়া পুরসভার অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নিয়েছে। এরপরেই পুরসভার পক্ষ উলুবেড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

কী বলছে পুর কর্তৃপক্ষ?

এই বিষয়ে উলুবেড়িয়া পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার রজত মজুমদার এবং ফিনান্স অফিসার উত্তম মণ্ডল জানান, আমাদের কাছে থাকা ১৯ টি চেকের মধ্যে প্রতারকরা ১৫ টি চেক জাল করে এবং আমাদের দুজনের সই নকল করে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে এই টাকা তুলে নিয়েছে। পুরসভার দুই আধিকারিক জানান, গত ২৯ নভেম্বর ১৬ এবং ১৭ নম্বর চেকে টাকা তুলতে আসার সময় প্রতারনার বিষয়টি সামনে আসে। তারা জানান জাল চেকগুলো পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ৬ জনের একটি প্রতারণা চক্র চালিয়েছে।

Cyber Crime : লিঙ্ক ক্লিক-OTP শেয়ার না করেই ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব লাখ টাকা! মাথায় হাত হাওড়ার দম্পতির
কী বলছেন পুর প্রধান?

ব্যাঙ্ক থেকে ইসু করা প্রতিটি চেকের আলাদা আলাদা সুরক্ষা কোড থাকলেও জাল চেকগুলির কোনওটাতেই এই ধরনের সুরক্ষা কোড নেই। তা সত্বেও কী ভাবে চেকগুলোর মাধ্যমে প্রতারকরা এতগুলো টাকা হাতিয়ে নিল সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রজত মজুমদার এবং উত্তম মণ্ডল। এই ব্যাপারে উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস জানান প্রতারনার বিষয়টি সামনে আসতেই সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে পুরসভার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাঙ্কের ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ এবং পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version