রবিবার আলিপুরদুয়ারে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকেই একাধিক উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেন তিনি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়েও এদিন একাধিক তথ্য জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক পরিবারের কতজন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতে পারেন?
স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠছিল যে এক পরিবারের কতজন মহিলা একসঙ্গে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন? এই নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। এদিন তা ফের মনে করালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট করেন, এক্ষেত্রে কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। অর্থাৎ কোনও পরিবারে যদি পাঁচ সাত জন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়ার সমস্ত শর্ত পূরণ করেন সেক্ষেত্রে প্রত্যেকেই সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা কত?
এই প্রকল্পের উপভোক্তারা সর্বাধিক কত দিন পর্যন্ত এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন? তা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। বিষয়টি নিয়ে গত বাজেট অধিবেশনেই স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালুর সময় বয়সের বাধ্যবাধকতা ছিল ২৫ থেকে ৬০ বছর। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকরা ৬০ বছর পার করার পরেও যাতে ভাতা পান সেই কারণে সরকার ঘোষণা করেন যে তাঁরা বার্ধক্য ভাতার আওতায় চলে আসবেন এবং ১০০০ টাকা করে পাবেন। এদিন সেই ঘোষণাই পুনরায় শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। তিনি স্পষ্ট জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের পরেও বার্ধক্য ভাতার সুবিধা পাবেন মহিলারা।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতে সমস্যা হলে কী করবেন?
এই প্রকল্প নিয়ে কোনও সমস্যা হলে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-তে জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। ৯১৩৭০৯১৩৭০ হেলপ লাইন নম্বরে ফোন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা নম্বরটি সক্রিয় থাকবে।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উত্তরবঙ্গ সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি ইতিমধ্যেই পাহাড়ের জন্য ঝাঁপি উপুড় করে দিয়েছে। দার্জিলিঙে আই টি হাব তৈরির কথাও শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠে। শুধু তাই নয়, দার্জিলিঙের চা বাগানে শ্রমিকদের সঙ্গে নিজে গিয়ে কথা বলেন তিনি। পাহাড়ি পোশাকে তোলেন চা পাতাও।