সুচিকিৎসার দাবিতে মন্ত্রীর শরণাপন্ন হয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালে যাতে সঠিক চিকিৎসা হয় তাঁর জন্য মন্ত্রীর পা জড়িয়ে ধরে মেয়ের প্রাণভিক্ষা চেয়েছিলেন বাবা। এরপরেও শেষরক্ষা হল না। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হল ১৩ বছরের নাবালিকার। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা চিকিৎসার ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়ার পরেও মৃত্যু হল নাবালিকার।

কী ঘটনা ঘটেছে?

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থাতে মৃত্যু হল ১৩ বছরের নাবালিকার। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে রবিবার সকাল থেকেই উত্তাল ছিল হাসপাতাল চত্বর। এমনকি মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার পা ধরে কাতর আর্জিও জানাতে দেখা যায় রোগীর পরিজনদের। তবে এতেও হলো না শেষ রক্ষা। হাসপাতাল চত্বরে কান্নার রোল। মধ্যরাত অবধি হাসপাতালে চলল বিক্ষোভ।

হাসপাতালে বিক্ষোভ

হাসপাতালের সামনে পরিস্থিতি সামলাতে আসেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিনাকী দত্ত, একাধিক ডিএসপি পদমর্যাদার অধিকারিক ও মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। রোগীর পরিজনদের সঙ্গে কথা বলতে হাসপাতলে পৌঁছন তৃণমূল বিধায়ক দিনেন রায়, জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা, মেদিনীপুর পুরসভার পুর প্রধান সৌমেন খান সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। নাবালিকার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন বিজেপি নেতাকর্মীরাও। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সোমবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হবে ময়নাতদন্ত। পুরো ময়নাতদন্ত ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে বলেও খবর হাসপাতাল সূত্রে।

নাবালিকার চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগ?

মেদিনীপুর শহরের কলগাং এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকাকে শুক্রবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তড়িঘড়ি তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়ে অপারেশন করানো হয়। পরিবারের অভিযোগ ছিল, কোনও কিছু টেস্ট না করেই তড়িঘড়ি ওই নাবালিকার অপারেশন করা হয়। শনিবার সকালের দিনে আরও একটা অপারেশন হয়েছে বলে পরিবারের দাবি। এরপর থেকেই ব্লিডিং বন্ধ না হওয়ার কারণে বাড়ির লোক চিন্তিত হয়ে পড়েন। এরপর নাবালিকাকে আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়।

Medinipur Medical College: হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ, মন্ত্রীর পায়ে ধরে মেয়ের প্রাণভিক্ষা বাবার
রবিবার হাসপাতালে নিজের এক কাজে এসেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তাঁকে দেখে কাতর আর্জি জানান পরিবারের সদস্যরা। মন্ত্রীর হাতে পায়ে ধরে কাকুতি মিনতি করতে দেখা যায় ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যের। এরপর মন্ত্রী নিজে ওই নাবালিকার সু চিকিৎসার ব্যাপারে আশ্বাস দেন। হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে তিনি নিজে কথা বলেন। পরিবারকে আশ্বস্ত করলেও শেষরক্ষা হল না। মেয়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version