কথায় আছে ‘ভাগ্যের ফের’। যে কোনও সময়ই বদলে যেতে পারে ভাগ্য। দীর্ঘদিন ধরে অভাব অনটনের সঙ্গে লড়াই করে আসছিসলেন বীরভূ্মের এক ছাপোশা লরি চালক। তাঁর ভাগ্য যে এভাবে বদলে যাবে, তা ভাবতে পারেননি তিনি নিজেও। স্বপ্নকে সত্যি করল একটি কাগজের টিকিট। লটারির টিকিট কেটে পালটে যাওয়ার পথে লরিচালক গফুর শেখের জীবন।

লটারি কেটে কোটিপতি লরিচালক

লটারির টিকিট কেটে রাতারাতি কোটিপতি হলেন লরি চালক। তাঁর নাম গফুর শেখ। বাড়ি মুরারই থানার অন্তর্গত আমভুয়া গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ ডিসেম্বর লরি নিয়ে নলহাটিতে গিয়েছিলেন গফুর। সেদিন রাতেই লটারির ফলপ্রকাশের কথা ছিল।

তড়িঘড়ি বাড়ি এসেছে টিকিট মিলিয়ে গফুর দেখেন তিনি ১ কোটি টাকা পুরস্কার জিতেছেন। প্রথমে তাঁর কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল। বারবার করে টিকিটের নম্বর মিলিয়ে দেখেন সত্যিই তিনি ১ কোটি টাকা পুরস্কার জিতেছেন। খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান তিনি। গফুরের গোটা পরিবারও খুশিতে ডগমগ।

মুরারইয়ের আমভুয়া গ্রামে স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে নিয়ে গফুরের সংসার। ভগ্নপ্রায় মাটির ঘরে বসবাস করে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। লটারিতে মোটা টাকা জেতার পর পরিবারের হাল ফিরবে বলে আত্মবিশ্বাসী গফুর।

Lottery Sambad : লটারিতে মোটা টাকা জয়, ভোগ করা হল না পুরস্কার! কৃষ্ণর পরিণতি দেখে অবাক স্থানীয়রা
কী বললেন গফুর?

লটারিতে মোটা টাকা জেতার পর পেশায় লরিচালক গফুর বলেন, ‘লটারিতে যে এত টাকা পেয়েছি, তা এখনও আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। ১০ তারিখ নলহাটি থেকে টিকিট কেটেছিলাম। দেখলাম ১ কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার আমি পেয়েছি। আমরা মাথায় অনেক টাকার ধার ও দেনা রয়েছে। পরিবারের অবস্থাও খুব খারাপ লরি চালিয়ে সংসার চলে। এই টাকা পেলে প্রথমে ধার দেনা ঠিক করব। বাড়ি তৈরি করব। আমরা এক ছেলে ও এক মেয়ে। জমি বন্ধক রয়েছে, সেই টাকাও মেটাতে হবে। সত্যিই এতদিনে আমার ভাগ্য ফিরল।’

গ্রামের বাসিন্দা নুরুল জামাল বলেন, ‘গফুরের গোটা পরিবারই খুব কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন কাটিয়েছে। এই লটারিতে জেতা টাকা থেকে ওঁর পরিবারের অনেক উপহার হবে। এই টাকা দিয়ে ছেলেমেয়ের পড়াশোনার বন্দোবস্ত করতে পারবে গফুর। আমরা গ্রামবাসী হিসেবে খুশি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version