জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চলতি বিজয় হাজারে ট্রফির (Vijay Hazare Trophy), প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল হরিয়ানা-তামিলনাড়ু (Haryana vs Tamil Nadu)। হরিয়ানা প্রথম ব্য়াট করে নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেটে ২৯৩ রান তুলেছিল। জবাবে তামিলনাড়ু ২৩০ রানে গুটিয়ে যায়। হরিয়ানা ৬৩ রানে তামিলনাড়ুকে হারিয়ে চলে গিয়েছে ফাইনালে। এই ম্য়াচকে ছাপিয়ে গিয়েছে পরাজিত দলের এক ব্য়াটারের সিংহহৃদয়ের প্রদর্শন। তিনি বাবা ইন্দ্রজিৎ (Baba Indrajith)। 

আরও পড়ুন: KKR: নীতীশের অধিনায়কত্ব চলে গেল! চব্বিশের যুদ্ধে কে নেতা? বিরাট ঘোষণা কলকাতার

ওয়াশরুমে পড়ে ফেটে গিয়েছিল বাবার ঠোঁট, রক্তে ভেসে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দলের প্রয়োজনে ছাড়েননি মাঠ। ইনিংস ব্রেকের মারাত্মক দুর্ঘটনাকে ভুলে গিয়েই বাবা খেলতে নেমেছিলেন। হরিয়ানার রান তাড়া করতে নেমে তামিলনাড়ুর চার উইকেট চলে যায় ৭৬ রানের মধ্য়ে। পাঁচে নামেন বাবা। তাঁর ঠোঁট থেকে চোখের নীচ পর্যন্ত মোটা ব্য়ান্ডেজে বাঁধা ছিল। ওই অবস্থায় বাবা ব্য়াট করেন। শুধু ব্য়াটই করেননি। দারুণ ইনিংসও খেলেন তিনি। ৭১ বলে ৬৪ রান করেন। হাঁকান পাঁচটি চারও। চেন্নাইয়ের ২৯ বছরের ব্য়াটার ১১৩ মিনিট ক্রিজে ছিলেন। মাঠে তাঁর চিকিৎসারও প্রয়োজন হয়েছিল। কিন্তু বাবার এই লড়াইয়েও শেষরক্ষা হয়নি দলের তামিলনাড়ু ছিটকে যায় বিজয় হাজারে থেকে। 

আরও পড়ুন: Rohit Sharma: ‘যা চাইবেন, তা পাবেন না’! বুক ভাঙার যন্ত্রণা এখনও কমেনি অধিনায়কের

 

 

 

খেলার পর বাবা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘সকলের চিন্তা ও শুভেচ্ছার জন্য় অনেক ধন্য়বাদ। ইনিংসের মাঝপথে যখন আইস বাথ নিতে গিয়েছিলাম, তখনই আমি পা হড়কে ওয়াশরুমে পড়ে যাই। উপরের ঠোঁট এবং ঠোঁটের ভিতরে গভীর ভাবে কেটে যাওয়ায় প্রচুর রক্তপাতও হয়। কোনও ভাবে ব্য়াট করেছি। কিন্তু খারাপ লাগছে যে, দলকে ফিনিশিং লাইন পার করাতে পারলাম না। হাসপাতালে গিয়ে সেলাই করাতে হয়েছে। দ্রুত ফিরে আসা উচিত। আবারও সবাইকে ধন্য়বাদ।’ তামিলনাড়ু ক্রিকেট তাঁদের ক্রিকেটারের ভূয়সী প্রশংসা করে সমাজমাধ্য়মের পাতায় পোস্ট করেছে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version