কী কর্মসূচি থাকছে?
মূলত, এক লাখ মানুষের কণ্ঠে গীতাপাঠ কর্মসূচির কথা মাথায় রেখেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে ভারে এবং আয়োজনে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকতে চলছে এই অনুষ্ঠান। বড়দিনের প্রাক্কালে এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে আলোচনা। যে কর্মসূচিগুলো নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত কণ্ঠে একটি নজরুল গীতি গাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ‘হে পার্থসারথি! বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ’ গানটি দিয়ে শুভারম্ভ হবে এই অনুষ্ঠানের। মোট ৬০ হাজার জন এই গান একত্রে গাইবেন।
এছাড়াও সেদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রায় ৭০ হাজার মহিলা একসঙ্গে শঙ্খ ধ্বনি দেবেন বলে জানা গিয়েছে। যা একটি রেকর্ড গড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, দের হাজার সাধু সন্ত এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। তাঁরা শান্তি স্তোত্র পাঠ করবেন। পাশাপাশি, গীতার প্রথম, দ্বিতীয়, দ্বাদশ, পঞ্চদশ ও অষ্টাদশ অধ্যায়ের সমবেত পাঠ তো রয়েছেই।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে চলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। পাশাপাশি, রাজ্যের একাধিক সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীরা এই অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছেন।
কী রকম আয়োজন হচ্ছে?
পোশাক বিধির উপরেই বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। পুরুষরা সাদা ধুতি এবং পাঞ্জাবি পরবেন। মহিলারা লাল পাড় সাদা সাড়ি পরবেন। যাঁরা এই অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নেবেন তাঁরা বিগ্রেডের প্রথম সারিতে উপস্থিত থাকবেন। ইতিমধ্যেই এই সমবেত সঙ্গীত, শঙ্খধ্বনি দেওয়ার মহড়া শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। গোটা রাজ্য থেকে অংশগ্রহণকারীরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চলেছেন। জানা গিয়েছে, বিদেশ থেকেও প্রতিনিধিরা আসছেন এই অনুষ্ঠান দেখতে।
অনুষ্ঠানে পর্যাপ্ত পরিমাণে মানুষ যাতে উপস্থিত থাকে, তার নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে উদ্যোক্তাদের তরফে। রাজ্যের সমস্ত সংঘ পরিবারের সদস্যের কাছে নির্দেশ গিয়েছে জমায়েতের জন্য। উল্লেখ্য, সনাতন সংস্কৃতি পরিষদ সংগঠনের তরফে বিগ্রেড এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। মোট ৩৬০০ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে।