কলকাতা ঐতিহ্যবাহী ট্রাম এখন জীর্ণ দশায়। অধিকাংশ রুটেই ট্রাম চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যে হাতেগোনা কয়েকটি রুটে পরিষেবা চালু রয়েছে, যাত্রীর অভাবে তাও ধুঁকছে। আর শুক্রবার কলকাতার ঐতিহ্য এই ট্রাম নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করলেন কলকাতার মেয়র ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মেয়রের এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই খুশি ট্রাম প্রেমীরা।

ট্রাম বাঁচানোর বার্তা ফিরহাদের

শুক্রবার কলকাতা ট্রাম নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার এসপ্ল্যানেড-খিদিরপুর রুটের বন্ধ হয়ে যাওয়া ট্রাম পরিষেবা পুনরায় চালু করতে আগ্রহী। ফিরহাদের দাবি, তিনটি রুটে বর্তমানে ট্রাম চললেও সেখানে যাত্রী নিরাপত্তার একাধিক বিষয় রয়েছে। শহরের একাধিক রাস্তায় ট্রামের ওভারহেড তার সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং লাইনের উপর বিটুমিন ঢেলে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে এই নিয়ে একটা মামলার শুনানি চলছে। মেয়র জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভা সেই রাস্তা থেকে ট্রাম লাইন তুলে ফেলার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানাবে। কারণ সেই রাস্তাগুলিতে ট্রাম চলাচলের সম্ভাবনা নেই।

ফিরহাদ বলেন, ‘আমরা এসপ্ল্যানেড-খিদিরপুর রুটে ট্রাম চালাতে চাই। এটাই আমাদের প্রস্তাব। বর্তমানে কলকাতার তিনটি রুটে ট্রাম চলে। কিন্তু সেখানে নিরাপত্তাজনিত বেশ কিছু বিষয় রয়েছে। তবে এসপ্ল্যানেড-খিদিরপুর রুটে ট্রাম চলাচলের জন্য পৃথক ট্যাক রয়েছে। আমরা গোটা বিষয়টা কলকাতা হাইকোর্টের কাছে তুলে ধরব।’ নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কথা বিস্তারিত বিবরণ না দিলেও, ট্রাম লাইনের কারণে দুর্ঘটনার কথাই তিনি বলতে চেয়েছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ট্রামের জল কলকাতা হাইকোর্টে

কলকাতার ট্রাম ফেরানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আগেই মামলা হয়েছিল। অগাস্ট মাসে একটি উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করে দেয় আদালত। সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ বলেন, ‘ট্রাম পরিষেবা পুনরায় চালুর করার বিষয়টি দেখার জন্য হাইকোর্ট কমিটি তৈরি করে দিয়েছিল। অন্য কোনও কারণে নয়।’ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘এটা জানা গিয়েছে সব রুটে ট্রাম চলাচল ফের চালু করার বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছে, ট্রামের ধীর গতির কারণে যানজট তৈরি হয়।’ চলতি বছরের শুরুতে রাস্তায় থাকা ট্রাম লাইনের উপর পিচ ঢালতে রাজ্য সরকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version