লটারি কেটে ‘লক্ষ্মীলাভ’-এর একাধিক নজির রয়েছে রাজ্যে। এবার লটারি কেটে ভাগ্য ফির মুর্শিদাবাদের এক ছোট ব্যবসায়ীর। দশ সেমের টিকিট কেটে কোটিপতি হলেন সামশেরগঞ্জ থানার নতুন শিবনগরের বাসিন্দা জাহাঙ্গির শেখ। এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে চর্চা।

লটারিতে লক্ষ্মী লাভ

লটারি কেটে মোটা টাকা পুরস্কার জিতলেন মুর্শিবাদাবের সামশেরগঞ্জের বাসিন্দা জাহাঙ্গির শেখ। তাঁর একটি ছোট ব্যবসা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই ব্যবসার উপার্জন দিয়েই স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে কোনওরকমে চলত সংসার। লটারি জিতেই নিরাপত্তার দাবিতে সামশেরগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

নতুন শিবনগরের বাসিন্দা জাহাঙ্গিরের ছোট ব্যবসা রয়েছে। যা উপার্জন হয়, অধিকাংশই ছেলেমেয়ের পড়াশোনার জন্য ব্যয় হয়। কোনও রকমে টেনেটুনে চলত সংসার। সংসারের হাল ফেরানোর আশায় প্রায়ই লটারির টিকিট কাটতেন জাহাঙ্গির। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ জাতীয় সড়কের উপর সাজুর মোড়ে ৬০ টাকা দিয়ে দশটি টিকিট কেনেন তিনি। রাত আটটায় ছিল খেলা। খেলা শেষেই জাহাঙ্গির জানতে পারেন তিনি এক কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কার পাওয়ার পর নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে থানায় ছোটেন ব্যবসায়ী।

অভাবের সংসারে এক কোটি টাকার পুরস্কার। আনন্দে আত্মহারা জাহাঙ্গির ও তাঁর পরিবার। গোটা টাকাটাই ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে সংসারের হাল ফেরাতে চান জাহাঙ্গির। থানার মাধ্যমেই পুরস্কার মূল্য পেতে চান তিনি।

কী বললেন ব্যবসায়ী?

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জাঙ্গাঙ্গির বলেন, ‘সাজির মোড় থেকে শুক্রবার ৬০ টাকা দিয়ে ১০টি টিকিট কেটেছিলাম। খেলার পর দেখলাম এক কোটি টাকার পুরস্কার পেয়েছি। আমার ছোট ব্যবসা রয়েছে। দারুণ লাগছে এই পুরস্কারের টাকা পেয়ে। টাকা পেলে কার না ভাল লাগে। আমার পরিবারও খুশি। সংসারের হাল ফেরাতে মাঝেমধ্যেই লটারি কাটতাম। এই টাকা দিয়ে পড়াশোনা করব। ছেলে মেয়ের পড়াশোনার সুবিধা হবে। আমি থানার দ্বারস্থ হয়েছি। থানার সুরক্ষা না নিলে বিপদে পড়তে পারি। তবে টাকা জিতে সত্যিই ভাল লাগছে।’

লটারি কেটে টাকা জেতার একাধিক ঘটনা মাঝমধ্যেই সামনে আসে। সম্প্রতি বীরভূম জেলার প্রান্তিক গ্রামের এক লরিচালক লটারি কেটে নগদ এক কোটি টাকা পুরস্কার জেতেন। ওই লরিচালক জানিয়েছেন, আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে তাঁর ও পরিবারের দিন কাটত। লটারিতে জেতা টাকা দিয়ে তিনি পরিবারের হাল ফেরাবেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version