কী জানা যাচ্ছে?
অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল পণ্যবাহী রেল গাড়ি। জানা যাচ্ছে, পাণ্ডবেশ্বর রেল সাইডিং সিএইচপি থেকে র্যাকে কয়লা লোড করে একটা মালগাড়ি অন্ডাল স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় মঙ্গলবার সকালে। অন্ডালের সিদুলি স্টেশনের কাছে হঠাৎ দুটি কোচের মধ্যে কাপলিং খুলে যাওয়ায় র্যাক থেকে আটটি কোচ আলাদা হয়ে যায় । এই ঘটনায় আধ ঘণ্টা বন্ধ থাকে পণ্যবাহী ট্রেন।
বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
রেলের কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং কাপলিং সংযোগের পর কয়লা বোঝাই র্যাকটি গন্তব্যের দিকে পাঠানো হয়। রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে প্রশ্ন উঠছে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই কী এমন ঘটনা? যদিও এই ঘটনা তেমন কোনও ভয়াবহ আকার নেয়নি। তবে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যে পারতো যে কোনও সময় বলে মনে করছেন অনেকে।
রেল কর্মী কী বললেন?
এক রেল কর্মী জানান, চালক সবকিছু দেখেই তারপর মালগাড়ি লোড করে গন্তব্যস্থলে দিকে যাওয়া শুরু করেন। এরকম কী ভাবে হল বোঝা যাচ্ছে না? চেক করার পরেও এরকম ঘটল কী করে, সেটা দেখা হচ্ছে। এভাবেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারত? রেল কর্মী জানান, চালক, গার্ড চেক করেই সব করা হয়। তারপরেও কেন এমন হল, বোঝা যাচ্ছে না। দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে।
উল্লেখ্য, নভেম্ভর মাসে মালদা জেলাতেও মালগাড়ি নিয়ে বিপত্তি ঘটে। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর রেল স্টেশনে লাইনচ্যুত হয় একটি মালগাড়ি। পাকুড় স্টেশন থেকে কাটিহারের উদ্দেশে যাওয়ার সময় উলটে যায় মালগাড়ি কয়েকটি বগি। হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনের পশ্চিম রেলগেটের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। বারবার মালগাড়ি নিয়ে এই বিপত্তি ঘটায় রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বারবার রেল দুর্ঘটনা ঘটার কারণে নিরাপত্তা ও রেলের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মালগাড়ি থেকে যাত্রীবাহী গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে মাঝেমধ্যেই। করমণ্ডল এক্সপ্রেস থেকে শুরু করে সম্প্রতি বিহারে নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ছে যাত্রীদের মধ্যে। এর মধ্যেই ফের মালগাড়ি বগি আলাদা হয়ে যাওয়ার ঘটনায় রেলের ঢিলেঢালা সুরক্ষা ব্যবস্থার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করছে।