এই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই নিয়ে সাংসদের পাশাপাশি তৃণমূলকেও তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। উপরাষ্ট্রপতিকে ফোন করে সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এই প্রথম নয়, অতীতেও একাধিকবার নিজের ‘অঙ্গভঙ্গি’ ও ‘কারনামা’-র জন্য কল্যাণকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। মঙ্গলবার উপরাষ্ট্রপতিকে নকল করা নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করে একটি টুইটও করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিতর্কের সমার্থক কল্যাণ
পেশায় দুঁদে আইনজীবী। দল ও তৃণমূল সরকারকে একাধিক মামলা জিতিয়েছেন কল্যাণ। ২০০৬-এ প্রথমবার তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ থেকে একটানা শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। ‘মমতা অন্ত প্রাণ’ কল্যাণের একাধিক মন্তব্য, অঙ্গভঙ্গি বা কার্যকলাপ নিয়ে বিভিন্ন সময় তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
বছর পাঁচেক আগে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কল্যাণ। সেখানে গানের তালে তাঁকে কোমর দোলাতে দেখা যায়। এমনকী গায়িকার অনুরোধে মঞ্চের সামনে গান মাইক হাতে গান গাইতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সাংসদকে। এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে।
২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া প্রচারে গিয়েছিলেন কল্যাণ। সেখানে সাংবাদিক বৈঠকে জেলার এক তৃণমূলনেত্রীর গালে হাত দিতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদকে। সেই নিয়ে দেখা দিয়েছিল চরম বিতর্ক। পরবর্তীকালে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃ্ত্ব ও ‘ডায়মন্ডহারবার মডেল’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দলের একাংশের রোষে পড়েছিলেন কল্যাণ। তাঁর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল কর্মীদের।
চলতি বছর কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে কলকাতার রাজভবনের সামনে ধরনা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ধরনামঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ। সেখানে মোদীকে কটাক্ষ করে তাঁর ‘খিঁচ মেরি ফটো খিঁচ’ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তাঁর একাধিক কাজ বিতর্ক তৈরি হলেও কল্যাণ যেন রাজ্য রাজনীতির এক ‘বর্ণময় চরিত্র’।