কোভিডের পর থেকেই ‘মন্দা’-র মুখোমুখি পরিবহণ ব্যবসা। অন্তত এমনটা দাবি বাস মালিক সংগঠনের। তার উপর পেট্রোপণ্যের মূলবৃদ্ধির কারণে বাস চালানো আরও দুষ্কর হয়ে উঠেছে বলে দাবি সংগঠনগুলির। এই অবস্থায় যখন একাধিক বাসরুট যখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তখন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র সল্টলেক সেক্টর ফাইভ ও নিউটাউনগামী যাত্রীদের জন্য সুখবর।

সেক্টর ফাইভ-নিউটাউনে জোড়া বাস

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ প্রতিদিন সল্টলেক সেক্টর ফাইভ ও নিউটাউনে আসেন। এখানে একাধিক ছোট-বড় সংস্থার অফিস রয়েছে। এবার সেক্টর ফাইভ ও নিউটাউনগামী যাত্রীদের জন্য সুখবর। শহরে চালু হচ্ছে নয়া দুই বাস রুট। ঘটকপুকুর থেকে শ্যামবাজার ও দানিশ শেখ লেন থেকে ভোজেরহাট, এই দুটি নতুন রুট চালু করা হচ্ছে। কলকাতা বাস-ও পিডিয়ার সাধারণ সম্পাদক অনিকেত বন্দ্যোপাধ্যায় টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, সল্টলেক ও রাজারহাটের তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্রের বিভিন্ন অফিসের যাত্রীদের এরফলে অনেকটা সুবিধা হবে।

১১টি নন এসি বাস ঘটকপুকুর-শ্যামবাজার রুটে চলাফেরা করে। এই রুটে আরও চারটি নতুন বাস অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই সবকটি বাসই বিএস ৬ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত নতুন বাস। এই নতুন রুটের বাসটি আর্ট গ্যালারি, ইউনিটেক, নিউটাউন, কলেজ মোড়, সিটি সেন্টার ১, পিএবি, উল্টোডাঙা, খান্না ও শ্যামবাজার হয়ে চলাচল করবে। দ্রত এই নয়া রুট শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

RTO-র কাছে আবেদন স্থানীয়দের

হাতিশালা, সোনপুরসহ ২৫টি এলাকার বাসিন্দাদের থেকে অনুরোধ গিয়েছিল আরটিওর কাছে। তাঁদের দাবি ছিল, উল্টোডাঙা ও শ্যামবাজার যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র K-1 রুটের বাস তাঁদের এলাকা দিয়ে চলাচল করে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের দাবি ছিল, ইউনিটেকে অনেকগুলি নতুন অফিস তৈরি হয়েছে। শুধুমাত্র একটি রুটের বাস চলাচলের কারণে তাতে ভিড় হয় মারাত্মক। ফলে শিশু ও মহিলাদের পক্ষে বাসে ওঠাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে দানেশ শেখ লেন ও সাপুরজির মধ্যে মাত্র দুটি বাস চলাফেরা করে। তার মধ্যে একটি এসি ও একটি নন এসি বেসরকারি বাস রয়েছে।

RTO-র এক আধিকারিক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘বাসিন্দাদের দাবি শোনার পর আমরা সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখি। বুঝতে পারি যে এই দাবির সারবত্তা রয়েছে।’ অন্যদিকে সিটি সাব আরবান বাস সার্ভিসেসের কর্তা টিটু সাহা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, মে মাসেই RTO এই রুট চালু নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version