রবিবার থেকে বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বালিচক রেলগেট দিয়ে। চলবে শুধুমাত্র বাইক ও অ্যাম্বুল্যান্স। দক্ষিণ পূর্ব রেলের বালিচক উড়ালপুল নির্মাণের কাজের জন্য রবিবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সমস্যায় পড়তে চলেছেন বিস্তীর্ণ এলাকার যাত্রীরা।

শুরু উড়ালপুলের নির্মাণের কাজ

উল্লেখ্য, এই বালিচক রেলগেট হয়ে মেদিনীপুর, সবং, ডেবরা, কাটাখালি, পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, ময়না, পটাশপুর সহ হাওড়া, কলকাতা ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল করে। এই রেলগেটে ছিল না কোনও উড়ালপুল। উড়ালপুলের দাবি ছিল বহুদিনের। বহু আন্দোলনও হয়েছে এই উড়ালপুলের দাবিতে। একসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল উড়ালপুল নির্মাণের কাজ। কিন্তু তাও শেষ পর্যায়ে থমকে যায়। কাজ থমকে যাওয়ায় বালিচক স্টেশন উন্নয়ন কমিটি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে ফের আন্দোলন শুরু করে। রেল ও প্রশাসনের কাছে তাঁদের তরফে আর্জি জানানো হয় দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার। অবশেষে এবার সেই থমকে যাওয়া নির্মাণ কাজই শুরু হতে চলেছে।

বিডিও কী জানাচ্ছেন?

এ প্রসঙ্গে ডেবরার বিডিও প্রিয়ব্রত বাড়ি জানান, রবিবার থেকে বালিচক রেলগেট দিয়ে কেবলমাত্র মোটরবাইক ও অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করছে। বাস, লরি সহ অন্যান্য গাড়িকে আপাতত অন্য রুট দিয়ে চালানো হবে। বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য শুরু হয়েছে মাইক প্রচার। তিনি বলেন, ‘যেখানে বর্তমান রেলগেট আছে, সেখানে উড়ালপুলের জন্য পিলার বসাতে হবে, তাই ওই রেলগেট সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে নতুন করে রেলগেট করা হচ্ছে সেখান দিয়ে মোটরবাইক ও অ্যাম্বুল্যান্স ছাড়া অন্য কোনও গাড়ি যেতে পারবে না।

কোন রুটে হবে যাতায়াত?

ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি প্রদীপ কর বলেন, ‘বাস ও অন্যান্য গাড়ি চলাচলের জন্য রাধামোহনপুর, হরিহরপুর, আষাড়ি হয়ে একটা রুট করা হয়েছে। এবং বুড়ামালা, শ্যামচক হয়ে অন্য আরেকটি রুট করা হয়েছে।’ মানুষকে যাতে কোনও সমস্যার মুখে পড়তে না হয় সেই দিকটাও নজরে রাখা হবে বলেও জানান তিনি। পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শীতের ধাড়া জানিয়েছেন, দ্রুত কাজ শেষ করার সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রেলগেট সরানো হয়ে গেলেই পূর্ত দফতর ও রেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের বাকি কাজ শুরু করবে।

Medinipur Medical College : মন্ত্রীর পা ধরেও মেলেনি চিকিৎসা! নাবালিকার মৃত্যুর পর তৎপর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ
স্টেশন উন্নয়ন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘রেলগেট সরিয়ে কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা রেল ও প্রশাসনকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমাদের দাবি, দ্রুত কাজ শেষ করে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে হবে।’ প্রদীপবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ ছাড়া এই উড়ালপুল নির্মাণ হতো না, আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version