একটি জমি বিবাদ সংক্রান্ত মামলায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগে উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী ও আইনজীবী প্রতাপ চন্দ্র দে-র বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ফৌজদারি অপরাধের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশের সিআইডি। সেই মামলায় বিচারপতির স্বামীকে জিজ্ঞাসবাদের জন্য একাধিকবার তলব করে তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তের স্বার্থে প্রতাপকে মোবাইল ফোন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তা তিনি তা জমা দেননি।

সম্প্রতি সিআইডির বিরুদ্ধে ‘মানসিক নিগ্রহ’-র অভিযোগ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রতাপ। এমনকী সিআইডির বিরুদ্ধে, তাঁর স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যে বয়ান’ দেওয়ার জন্য অভিযোগ তোলেন বিচারপতির স্বামী। প্রতাপের তোলা যাবতীয় অভিযোগ নিয়ে এবার মুখ খুলল রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা।

কী বলল সিআইডি?

বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর তোলার অভিযোগ বিবৃতি জারি করেছে সিআইডি। বিবৃতিতে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা যেমন যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করেছে, তেমনই সিআইডির দাবি নিয়মাফিক গোটা জিজ্ঞাসবাদ প্রক্রিয়া ভিডিয়ো রেকর্ডিং তাদের কাছে রয়েছে।

সিআইডি বলেন, ‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জেনেছি সিআইডির অফিসারদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছে। যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। এমন অভিযোগ তুল তদন্তকারী সংস্থার বদনাম করার পাশাপাশি তদন্তের গতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

সিআইডির আরও দাবি, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিআইডি তদন্ত করছে। বাণী রায় চৌধুরী নামের এক মহিলা সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটশন দাখিল করে প্রতাপের বিরুদ্ধে তাঁর জমি সংক্রান্ত মামলায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করেন। পিটিশনে বিচারপতির স্বামীর পরিচয় ব্যবহার করে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তী শুনানির দিন মুখবন্ধ খামে সিআইডিকে রিপোর্ট জমা নির্দেশ দিয়ে শীর্ষ আদালত। তাঁর ভিত্তিতে তদন্ত প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবে প্রতাপচন্দ্রকে ডেকে পাঠানো হয়েছে… দু’বার তাঁকে তলব করা হলেও তিনি সময়ে হাজিরা দেন এবং দেরি হওয়ার কারণও বললেনি।’

সিআইডি জানিয়েছে, ‘৭/৯/২০২৩ ও ১৬/১২/২০২৩ এই দুটি তারিখে সিআইডির আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসবাদ করেছেন। নিয়মমাফিক গোটা জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া অডিয়ো-ভিজ্যুয়াল রেকর্ডিং রয়েছে। প্রতাপচন্দ্রের সঙ্গে যথেষ্ট ভদ্র আচরণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন তাঁকে চা ও জল দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে বিরতি দেওয়া হয়েছে। এমনকী শৌচাগার ব্যবহার ও ধূমপানের জন্যও তাঁকে সময় দেওয়া হয়েছে। তাঁর যাবতীয় কার্যকলাপের সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে… যে অভিযোগ এখন তোলা হচ্ছে, তা আগে কখনও বলা হয়নি। এই ধরনের অভিযোগ তদন্তকারী সংস্থার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। গোটা বিষয়টি আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে তুলে ধরব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version