বাদশাহি বেগুন বলা যায়! একেকটির ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে ২ কিলো। অবাক, হলেও সত্যি। এরকমই বিশালাকৃতির বেগুন চাষ হচ্ছে মালদা। বিশেষ প্রজাতির এই বেগুন চাষ করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন চাষিরা।

মালদা চাষ হচ্ছে স্বাভাবিকের থেকে অনেক বড় আকারের এবং ওজনের বেগুন। ৮০০ গ্রাম থেকে দুই কেজি পর্যন্ত এক একটি বেগুনের ওজন হয়। তবে মালদার সর্বত্র পাবেন না এই বেগুন। পুখুরিয়ার রাজাপুরে মূলত চাষ হয় এই বেগুন। এছাড়াও ওই গ্রামের পার্শ্ববর্তী পুরাতন মালদার মহিষবাথানী , গাজোল ব্লকের পান্ডুয়া এলাকায় কিছু পরিমাণ জমিতে চাষ হয়। এই বেগুনের নাম নবাবগঞ্জের বেগুন। এই প্রজাতির বেগুন আর অন্য কোথাও চাষ হয় না। এই এলাকার কৃষকেরাই চাষ করেন।

প্রতি বছর কৃষকেরা বেগুনের বীজ সংরক্ষণ করে রাখেন। পরবর্তীতে সেই বীজ বপণ করেন কৃষকেরা নিজেই। এই প্রজাতির বেগুনের বীজ কোথাও কিনতেও পাওয়া যায় না। প্রাচীন কাল থেকেই এই বেগুনের চাষ হয়ে আসছে মালদা এমনটাই দাবি কৃষকদের। একসময় মহান মহানন্দা নদীর তীরে নবাবগঞ্জে বিশাল হাট বসত। কৃষকেরা ওই হাটেই এই বিশাল বেগুন বিক্রি করতেন।

হাটের নাম অনুসারেই এই বেগুনের খ্যাতি। তাই এই বেগুনের নাম নবাবগঞ্জের বেগুন। এখনও এই নামেই পরিচিতি বিশাল এই বেগুনের। বর্তমানে বিশাল আকারের এই বেগুনের দাম ১০০ টাকা কেজি। মালদা শহরের বাজারে পাওয়া যায়। একটি বেগুনের ওজন অনেক আবার দামও বেশি তাই সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে এখন এই বেগুন।

Malda News : কোটি টাকার জুয়া খেলা চলে প্রকাশ্যে! খেলেন পুরুষ-মহিলা সকলেই, মালদার এই মেলার ইতিহাস জানেন
মালদা জেলায় উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদা জেলার তিনটি ব্লকের বেশ কিছু গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে এই বেগুন বর্তমানে চাষ হচ্ছে। ধীরে ধীরে এই বেগুনের ওজন অনেকটাই কম হচ্ছে। কারণ গতানুগতিক চাষের ফলে। ৮০০ গ্রাম থেকে দুই কেজি পর্যন্ত হয় একটি বেগুনের ওজন। এই বেগুন গুলিতে বীজ থাকে প্রায় ৫০ গ্রাম। অন্য কোথাও এই বেগুন চাষ না হওয়ার কারণ, মাটির উর্বরতা এবং আবহাওয়া। মূলত শীতকালেই পাওয়া যায় এই বেগুন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version