অনুষ্ঠানের সূচনা দ্বারকার শঙ্করাচার্যের
অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য কলকাতা এসেছেন দ্বারকার শঙ্করাচার্য দয়ানন্দ সরস্বতী। মূল মঞ্চে তিনি রয়েছে। ধর্মীয় বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন তিনি। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দ্বৈতাপতিকে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে দেখা গিয়েছে।
ব্রিগেডের ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ অনুষ্ঠানে শ্রীমদ্ভগবদ গীতার পাঁচটি অধ্যায় পাঠ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। গোটা অনুষ্ঠান স্থলকে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে মোট ২০টি ভাহে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিভাগে ৫ হাজার জন করে গীতা পাঠ করবেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
উপস্থিত বিজেপির শীর্ষনেতারাও
একাধিক ধর্মীয় সংগঠন সামনে থেকে অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে থাকলেও পিছনে রয়েছে বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যে বিজেপির শীর্ষনেতার ব্রিগেডের মাঠে বসে গীতা পাঠ করতে দেখা গিয়েছে। রয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, সাংসদ দিলীপ ঘোষ। রাজ্যেরে একাধিক বিজেপি বিধায়ক ও নেতানেত্রীদেরও ব্রিগেডে বসে গীতা পড়তে দেখা গিয়েছে। এক চিত্রশিল্পীকে শ্রীকৃষ্ণের বিরাট ছবি আঁকতেও দেখা গিয়েছে।
‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ অনুষ্ঠানে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে মূলত দুটি মঞ্চ করা হয়েছে। মূল মঞ্চে রয়েছেন সাধুসন্তরা। অপর মঞ্চে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নজরুলগীতির মধ্যে দিয়ে এদিন গীতাপাঠের সূচনা করা হয়। তবে এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি বিজেপি নেতাদের।
অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত মোদী
এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর। এমনকী অনুষ্ঠানের কথা জানিয়ে শহরের দিকে দিকে লাগানো ফ্লেক্স ও ব্যানারে ছিল প্রধানমন্ত্রীর ছবি। তবে শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে তাঁর না আসতে পারার কথা জানানো হয়।
শনিবার উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে একটি বিশেষ বার্তা পাঠান প্রধানমন্ত্রী। তাতে তিনি লেখেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। মহাভারত, স্বাধীনতা সংগ্রামের পরও বিভিন্ন সময়ে গীতা আমাদের জীবনকে উদ্বুদ্ধ করেছে। গীতা জীবনের অন্যতম চালিকাশক্তি। এক লাখ মানুষ কলকাতা একসঙ্গে গীতা পড়বেন জেনে ভাল লাগছে। উদ্যোক্তাদের আমার আন্তরিক অভিনন্দন।’