হাবড়ায় ১ নম্বর রেলগেট ভেঙে যাওয়ার কারণে বিপত্তি। আটকে পড়লেন টেট পরীক্ষার্থীরা। টেট পরীক্ষা শুরুর আগেই সঠিক সময়ে পৌঁছতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন পরীক্ষার্থী। ট্রেন দেরিতে চলার কারণে সমস্যা পড়েন পরীক্ষার্থীরা।

রবিবার সকালে হাবড়ায় ১ নম্বর রেলগেট ভেঙে যাওয়ার কারণে বনগাঁ-শিয়ালদহ গামী ট্রেন দেরিতে চলছে। ফলে টেট পরীক্ষা দিতে যাওয়া পরিক্ষার্থীদের মধ্যে কেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। হাবড়া স্টেশনে গোবরডাঙা থেকে আসা এক পরিক্ষার্থীকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেল। কীভাবে পরিক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করছে পরিক্ষার্থী সহ তাঁর পরিবার।

ক্যামেরার সামনে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই পরিক্ষার্থী। আদৌ সেই প্রার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারবেন কিনা, অথবা লেট হলে তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পাবে কিনা বা তাঁকে অনুমতি দেবে কিনা তাই নিয়ে প্লাটফর্মে বসেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। যদিও ট্রেন লেট চললেও কোনও টেন বাতিল হওয়ার কোন খবর নেই।

রবিবার সারা রাজ্য জুড়ে চলছে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার জন্য টেট পরীক্ষা। দুপুর বারোটা থেকে এদিন টেট পরীক্ষা শুরু হয়। বেলা আড়াইটে পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। তবে ওই পরীক্ষার্থী বেলা ১২ টার মধ্যে ওই পরীক্ষার্থী না পৌঁছতে পারার জন্য আদৌ পরীক্ষায় তিনি বসতে পারেননি বলেই জানা গিয়েছে।

SSC Recruitment Scam : রাজ্যে কত ‘ভুয়ো শিক্ষক’? তথ্য দিয়ে জানাল SSC
টেট পরীক্ষার জন্য সল্টলেক এপিসি ভবনে করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, যেখান থেকে প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে চলছে। মোট ৭৭৩ টা পরীক্ষা কেন্দ্রে ৩ লাখ ৯ হাজার ৫৪ জন পরীক্ষার্থী। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। কন্ট্রোল রুম থেকে পুরোটা মনিটরিং করা হচ্ছে। হেল্পলাইন নাম্বারও দেয়া আছে।কোন রকম সমস্যা হলে হলে তারা যোগাযোগ করছে। এডমিট কার্ডে পরিষ্কার লেখা আছে কোন কোন জিনিস নিয়ে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে। কিছু জায়গায় সমস্যা ছাড়া মোটামুটি ভাবে টেট পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে চলছে বলেই জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, টেট পরীক্ষা শুরুর আগে বারুইপুর মাদারহাট পপুলার একাডেমি স্কুলে শুরু হয় গণ্ডগোল। 11 টা বেজে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মূল দরজায় তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।কোনও পরীক্ষার্থীকেই ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন পরীক্ষার্থী বাইরে অপেক্ষা করছিল, প্রশাসনের তরফ থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সেদিকে কান দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। কার্যত স্কুলের সামনে রাস্তা অবরোধ করতে বাধ্য হয় পরীক্ষার্থীরা, প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক রাস্তা অবরোধ করায় সাড়ে এগারোটার পর তাঁদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version