রবিবার এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই চিকিৎসক নিউটাউনের একটি নার্সিংহোমের মালিক বলে জানা গিয়েছে। নার্সিংহোমে কর্মরত এক নার্সের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই চিকিৎসককে পুলিশ গ্রেফতার করেছ বলে জানা গিয়েছে। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন অভিযোগকারী নার্স।

ঠিক কী ঘটনা?

রবিবার বেসরকারি নার্সিংহোমের ওই চিকিৎসক তথা মালিককে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও চেম্বারে বন্ধ করে রাখার অভিযোগ করেছেন অভিযোগকারী নার্স। ২৩ ডিসেম্বর নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নার্স। পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেন, কোনওক্রমে তিনি বন্ধ চেম্বার থেকে পালাতে পেরেছেন। নার্সের দাবি, বিগত দু’মাস ধরে তিনি এই হাসপাতালে কাজ করছিলেন।

অভিযোগকারী নার্সের দাবি, ১২ ডিসেম্বর ফোন করে তাঁকে নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠান ওই চিকিৎসক। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। লিখিত অভিযোগে নির্যাতিতা নার্স আরও দাবি করেছেন, তাঁকে নার্সিং হোমে তালাবন্ধ করে আটকে রাখা হয়েছিল। এমনকী তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হুমকি দিয়ে তাঁকে বলা হয়, ধর্ষণের কথা বাইরে প্রকাশ করলে তাঁকে খুন করা হবে।

পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে ওই নার্স জানিয়ছেন, ধর্ষণের পর তাঁকে পাঁচদিন ধরে ওই কেবিনে বন্ধ করে রাখা হয়। ১৭ ডিসেম্বর কোনও ক্রমে তিনি সেখান থেকে পালতে সক্ষম হন এবং বাড়িতে ফিরে আসেন। বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের ঘটনার কথা জানান। যাবতীয় ভয় উপেক্ষা করে ২৩ ডিসেম্বর নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

নিউটাউন থানাক এক আধিকারিক এ প্রসঙ্গে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘নার্সের অভিযোগ ওই হাসপাতালের চিকিৎসক মালিক তাঁর ধর্ষণ করেছেন। তাঁর লিখিত অভিযোগের উপর ভিত্তিতে রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারির পর তাঁকে বারাসত কোর্টে পেশ করা হয়। নার্সের মেডিক্যাল পরীক্ষা করে দেখা হবে। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে আমার জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version