অবশেষে লোকালয় থেকে জঙ্গলে ফিরে গেল রয়েল বেঙ্গল টাইগার। মঙ্গলবার দুপুরে ধনচির জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বাঘটিকে। রয়্যাল বেঙ্গল জঙ্গলে ফিরে যাওয়ায় স্বস্তি পেয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। আপাতত আর কোনও দুশ্চিন্তার কারণ নেই বলে জানাচ্ছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বন বিভাগের আধিকারিক মিলন মণ্ডল।

জানা গিয়েছে, বাঘের আতঙ্কে বেশ কিছুদিন ধরেই ঘুম উড়েছিল পাথরপ্রতিমা এলাকার বাসিন্দাদের। একদিকে যখন উপেন্দ্রনগর এলাকায় বাঘের আতঙ্কে মানুষ যুবুথুবু, তখন অন্যদিকে ২৪ তারিখ বনদফতরের কাছে খবর আসে শ্রীধরনগরের কাছে আরও একটি বাঘের দেখা মিলেছে। আর সেই বাঘটিকে কেন্দ্র করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষজন।

এরপরেই বনদফতরের কর্মীরা দুটি দলে ভাগ হয়ে বাঘের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন। বাঘকে ধরতে দুই জায়গাতেই পাতা হয় খাঁচা। বনদফতরের কর্মীরা বাঘের সন্ধানে তল্লাশি চালানোর সময় হঠাৎ করেই একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার তাঁদের নজরে আসে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ বনদফতরের কর্মীরা ধোনচির জঙ্গলে পাঠিয়ে দিতে সক্ষম হন। ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা বর্ণালী মাইতি বলেন, সবাই বলছে ২টি বাঘ আছে, থাবা দেখা গিয়েছে। ঘর থেকে বের হচ্ছিলাম না। সন্ধ্যা হলেই ঘরে ঢুকে যাচ্ছিলাম।

বাঘের থাবা

অন্যদিকে বনদফতরের আধিকারিক বলেন, ‘গত ২৪ তারিখ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার উপেন্দ্রনগরের কাছে বাইরে বেড়িয়ে এসেছিল। গতকালই আমরা গোটা এলাকাটি নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলেছিলাম। ২টি খাঁচও ওখানে পাতি। সকালে শ্রীধরনগরের কাছ থেকে খবর আসে যে সেখানেও বাঘ দেখা গিয়েছে। এরপরেই আমাদের কর্মীটা দু’টি দলে ভাগ হয়ে সেখানে যান। যখন তাঁরা জঙ্গলে স্ক্যানিং করছিল, তখন একটি দলের সামনে বাঘটি পড়ে যায়। এরপর তাঁরা সাফল্যের সঙ্গে ধনচির জঙ্গলে বাঘটিকে পাঠিয়ে দিতে সক্ষম হন। লোকালয়ে একন আর আতঙ্কের কোনও বিষয় নেই।’

প্রসঙ্গত, লোকালয়ে বাঘ আসার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও ঘটে এমন ঘটনা। গত মাসে এই পাথরপ্রতিমারই ঠাকুরান নদী ও জগদ্দল নদীর সংযোগস্থলের কাছে দিন্দাপাড়া সংলগ্ন রক্সিন নদীর চরে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান স্থানীয়রা। জানা যায় একটি ষাঁড়কে তাড়া করেছিল বাঘটি। কুকুরের চিৎকার শুনে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন স্থানীয়রা। দেখেন নদীর পাড় লাগোয়া রাস্তায় বসে রয়েছে বিশালাকর এক বাঘ। নিমেষে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version