ফেসবুকে কী লিখলেন অনুপম?
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুপম হাজরা লিখেছেন, ‘পদ থেকে সরাবার ঠিক তিন ঘণ্টার মধ্যেই বার্তা – কিছু শর্ত মেনে চললে আবার সব কিছু আগের মতো!’ তবে এই বিষয়ে ঠিক কার বা কাদের তরফ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছ, কিংবা কী কী শর্ত মেনে চলতে বলা হয়েছে, কিংবা তিনি সেই সমস্ত শর্তি মেনে চলবেন কি না, সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই উল্লেখ করেননি অনুপম। এমনকী এই বিষয়ে এই সময় ডিজিটালের তরফে একাধিকবার তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, কল রিসিভ করেননি বিজেপি নেতা।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাস ধরে লাগাতার বিজেপির বীরভূম জেলা নেতৃত্ব ও রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে কখনও নাম করে, কখনও নাম না করে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে অনুপম হাজরাকে। সম্প্রতি তিনি অভিযোগ করেন, দলের রাজ্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এর মদতেই জেলা বিজেপিতে অরাজকতা চলছে। এমনকী জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা লোক দিয়ে তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন এই বিজেপি নেতা। এখানেই শেষ নয়, বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কের সময়ে শান্তিনিকেতনে তৃণমূলের ধরনা মঞ্চে উপস্থিত হন অনুপম। কথা বলেন তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে।
এদিকে অনুপমের এহেন কাণ্ডকারখানায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয় বিজেপির রাজ্যে ও বীরভূম জেলা নেতৃত্বকে। সম্প্রতি অনুপমের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, ‘সবটা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানেন, কয়েক দিনের মধ্যে আপনারা এর ফল দেখতে পাবেন।’ আর বাস্তবেই এবার দেখা গেল কেন্দ্রীয় পদ থেকে অপসারণ করা হল অনুপম হাজরাকে।
অনুপমের এই ধরনের মন্তব্যে রাজনৈতিকমহলের একাংশে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ফের তৃণমূলের কাছাকাছি আসতে চাইছেন অনুপম? কারণ সম্প্রতি তৃণমূল নেতা তথা বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন, ‘অনুপম হাজরা শিক্ষিত ছেলে, ভালো ছেলে। ওর সঙ্গে আমি মিশেছি। ওর মতো বিজেপির যে কেউ আমাদের উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হতে চাইলে তাঁদের স্বাগত।’ সেক্ষেত্রে অনুপম ভবিষ্যতে কোন পথে পা বাড়ান, তা অবশ্য বলবে সময়।