চিকিৎসক কাঞ্চন ধারার জামিনের আবেদন নিয়ে দফায় দফায় চলে নাটক। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও দিনভর শুনানি শেষে জামিন নাকচ করে দিলেন মেদিনীপুর আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানির সময় আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রভাবশালী চিকিৎসক প্রভাব খাটাতে পারে মামলায়। প্রভাবিত হতে পারে সাক্ষী। সেই কারণকে সামনে রেখে জামিন না মঞ্জুর করে দেন মেদিনীপুর আদালতের সিজিএম।
গত সেপ্টেম্বর মাসে মেদিনীপুর শহরের বেসরকারি নার্সিংহোম এক রোগিনীর মৃত্যু ঘটে। সেই মহিলার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে কাঞ্চন ধারার বিরুদ্ধে। ১১ই জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। শুক্রবার মেদিনীপুর আদালতে নতুন করে জামিনের আবেদন জানানো হয় চিকিৎসক কাঞ্চন ধারা এবং মেদিনীপুর শহরের অন্যান্য চিকিৎসকদের তরফে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে সাওয়াল জবাবের পর শুক্রবার ফের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ জানুয়ারি এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ওই দিন মৃতার ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফিক রিপোর্ট তলব করা হয়েছে আদালতের তরফে। চিকিৎসকের গ্রেফতারি ও জামিনের আবেদন ঘিরে যেভাবে দফায় দফায় নাটক চলছে তা রীতিমতো নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন আইনজীবীরা।
জানা গিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে রোগিণী দিপালী খামরুই(৫২) ডাঃ কাঞ্চন ধারার চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকের নির্দেশে শহরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন তিনি। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর ওই চিকিৎসকের অধীনে জরায়ুতে টিউমারের অপারেশন হয়৷ তবে অস্ত্রোপচারের পর রোগিণীর দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সঙ্গে সঙ্গে আইসিইউ বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়।
রোগিণীর পরিবার অভিযোগ জানায়, বারবার বিষয়টি চিকিৎসক কাঞ্চন ধারাকে জানানো হলেও তিনি একবারও আসেননি। তাঁর পরিবর্তে অন্য চিকিৎসকেরা রোগিণীর চিকিৎসা করেন বলে দাবি করা হয়েছে৷ অবস্থা বেগতিক দেখে তাঁরা পুনরায় সেই রোগিণীর অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পরে রোগিণীর মৃত্যু হয়। এরপরেই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনে পুলিশের দ্বারস্থ হন রোগিণীর পরিজনেরা।