মধ্যমগ্রামে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ফুড ফেস্টিভ্যাল। আর তা বিশেষ নজর কেড়েছে ভোজনরসিকদের। শহিদ ক্ষুদিরাম বসু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চলা এই মেলার এবারের থিম শতবর্ষে মৃণাল সেন। সেখানেই মিলছে এই ডোডা বরফি। ঘিয়ের বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি এই মিষ্টির পসরা নিয়েই হাজির হয়েছেন এক গৃহবধূ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেই জানা গেল, জেলায় এই প্রথম কোন ফুড ফেস্টিভ্যালে ডোডা বরফি মিলছে। আর তা খাওয়ার জন্য সন্ধ্যার পর থেকেই ভিড় জমছে ভোজন রসিক মানুষের।
শুধু তাই নয়, তৈরি হতে না হতেই নিমেষে শেষ হয়ে যাচ্ছে এই বরফি। এই মিষ্টির জোগান দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। কী ভাবে তৈরি হয় এই ডোডা বরফি?
দুধ জ্বাল দিয়ে তার মধ্যে ডালিয়া , ঘি ও বিভিন্ন ধরনের ড্রাইভ ফুড দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়ে থাকে এই ডোডা বরফি। পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে ঘিয়ের বিশেষ লাড্ডুও। এই ডোডা বরফির দামও খুব বেশি নয়। মাত্র ২০ টাকা। আর এই ডোডা বরফি খাওয়ার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন ভোজনরসিকরা। একবার চেখে দেখে অনেকেই আবার বাড়ির জন্যও নিয়ে যাচ্ছেন এই বিশেষ মিষ্টি। গৃহবধূ ববি সরকারের তৈরি উত্তর ভারতের বিশেষ এই ডোডা মিষ্টি বিশেষ নজর কেড়েছে ভোজন রসিকদের।
এই প্রসঙ্গে ডলি বলেন, ‘এটা উত্তর ভারতের জনপ্রিয় মিষ্টি। পুরোপুরি দেশি ঘি দিয়ে তা তৈরি হয়। আমি ছোট থেকেই উত্তরপ্রদেশে বড় হয়েছি। তাই এই মিষ্টিটা তৈরি করতে পারি। দুধ দিয়ে, ডালিয়া দিয়ে এই মিষ্টি তৈরি করতে হয়। শনিবার সব মিষ্টি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কলকাতার মানুষজন এই মিষ্টিটার সঙ্গে খুব একটা বেশি পরিচিত নন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মিষ্টিটির স্বাদ যেমন অনন্য তেমনই নামটাও অনেকের কাছেই অজানা। স্বাভাবিকভাবেই একটা কৌতুহল তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তাঁরা একবার হলেও এই মিষ্টি কিনছেন। যাঁরা একবার কিনছেন তাঁরা বারবার কিনছেন এই উত্তরপ্রদেশের বিখ্যাত ডোডা বরফি।’