এই সময়: লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে ফের নিষ্ক্রিয়দের সক্রিয় করার ‘অভিযান’ শুরু হয়েছে। দূত মারফত তাঁদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে মাঠে নামার জন্য। এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে আরএসএস-ও। আজ, শনিবারই রাজ্যে আসছেন আরএসএস সুপ্রিমো মোহন ভাগবত। দু’দিন তাঁর রাজ্যে থাকার কথা।

সূত্রের খবর, বঙ্গ-বিজেপিতে গুরুত্ব না-পাওয়া নেতাদের একাংশ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু দল-সঙ্ঘের আহ্বান বা মিটিংয়ের পরেও তথাকথিত নিষ্ক্রিয় অংশ ভোটের আগে কতটা সক্রিয়া হবে, তা নিয়ে অবশ্য গেরুয়া শিবিরেই সংশয় আছে। গত বুধবার দক্ষিণ কলকাতার আইসিসিআর প্রেক্ষাগৃহে বিজেপির বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

বছরখানেক পরে তাঁকে বিজেপির কোনও বৈঠকে দেখা গেল। দলের এক পদাধিকারীর কথায়, ‘যতদূর মনে পড়ছে, ২০২১ বিধানসভা ভোটের পরে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে দলের কোনও কর্মসূচিতে দেখিনি। কেন তিনি দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছিলেন, কেনই বা দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে এতদিন সক্রিয় করার চেষ্টা করেননি, সেটা বলতে পারব না। কিন্তু এটা ঠিক, রূপাদির মতো এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মাঠে নামাতে পারলে পার্টিরই মঙ্গল।’

দিলীপ ঘোষকে বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর পার্টিতে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছেন তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সঙ্গী রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ও সায়ন্তন বসু। তাঁরা দু’জনেই দিলীপ জমানায় বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এক বছরেরও বেশি সময়ে রাজুকে দলীয় কোনও বৈঠকে দেখা যায় না। যদিও খাতায়-কলমে তিনি এখনও রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি।

সায়ন্তনের এখন পার্টিতে কোনও সাংগঠনিক পদ নেই। তাঁকে সচরাচর বিজেপির কোনও কর্মসূচিতেও দেখা যায় না। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, সম্প্রতি ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচিতে দেখা ছিলেন দু’জনই। কয়েকদিন আগে শান্তিনিকেতনের পৌষমেলায় বিজেপির স্টলেও দেখা গিয়েছে সায়ন্তনকে।

বিজেপির অন্দরেই চর্চা চলছে, তবে কি আবার রাজু-সায়ন্তনের মতো পুরোনোদের সামনের সারিতে দেখা যাবে? গীতাপাঠের কর্মসূচিতে জেলাস্তরের বহু পুরোনো ও নিষ্ক্রিয় নেতা-কর্মীকে ব্রিগেডে দেখা গিয়েছিল। বিজেপি থেকে থেকে সাসপেন্ড হওয়া নেতা-কর্মীদেরও অনেকে গত রবিবার ব্রিগেডে জড়ো হয়েছিলেন।

সূত্রের খবর, আরএসএস থেকেই তাঁদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল কর্মসূচিতে থাকার জন্য। যা দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, ভোটের আগে নিষ্ক্রিয়দের সক্রিয় করার বিষয়ে আরএসএসও নড়েচড়ে বসেছে। রাজুর কথায়, ‘লোকসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। বিজেপিতে যাঁরা পুরোনো নেতা-কর্মী আছেন, তাঁদের যত তাড়াতাড়ি সক্রিয় করার চেষ্টা শুরু হবে, তত দলেরই লাভ।’

West Bengal BJP : কম্পিটিটর বহু, এবার অনুপমের চেয়ারে কে!
সায়ন্তন বসুর বক্তব্য, ‘যোগাযোগ আমার সঙ্গে অনেকেরই আছে। কিন্তু নির্বাচন অথবা সংগঠনের বিষয়ে এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে কেউ কোনও আলোচনা করেননি এখনও।’ এদিকে আরএসএস সূত্রের খবর, কলকাতায় এসে ভাগবত সৌজন্য সাক্ষাতে যেতে পারেন এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে ও প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের বাড়িতে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version