ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে রাজ্য। মশাবাহিত রোগ দূর করার জন্য যে কোনও পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর প্রশাসন। আর সেই জন্য প্রত্যেকটি ওয়ার্ড ধরে ধরে করা হচ্ছে মাইক্রো প্ল্যানিং। অর্থাৎ যে কোনও নির্দিষ্ট ওয়ার্ডগুলিতে যাতে সুক্ষ্ম থেকে সুক্ষ্মতম বিষয়ের উপর নজরদারি চালানো যায় সেই কারণে উদ্য়োগ নিয়েছে প্রশাসন। আর এই জন্য যাতে কোনওভাবেই লোকবল কম না পড়ে যায় তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।

জানা গিয়েছে, রাজ্য়ের একাধিক পুরসভাগুলিতে প্রায় এক হাজার অনারারি হেলথ ওয়ার্কার বা স্বাস্থ্যকর্মীর শূন্যপদ আছে। আর সেগুলিই পূরণ করার জন্য উদ্যোগ নিতে পারে রাজ্য সরকার। ভোট প্রক্রিয়া চালু হয়ে গেলে নতুন করে আর কোনও নিয়োগ সম্ভব নয়। তাই ভোটের আগেই যাতে এই পদগুলি পূরণ হয়ে যায় সেই জন্য দেওয়া হয়েছে নির্দেশ। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত পুরসভাগুলিকে চিঠি দিয়েছে স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি অর্থাৎ সুডা। যাবতীয় নিয়ম মেনে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

কী কী দায়িত্ব পালন করতে হবে এই স্বাস্থ্য কর্মীদের?

মশাবাহিত রোগের প্রকোপ থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। অভিজ্ঞ মহলের একাংশের কথায়, স্বাস্থ্যকর্মীরা এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাঁরা সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি যান এবং তাঁদের খোঁজখবর করেন। এলাকায় এলাকায় ঘুরে চালান সমীক্ষাও। আর তাঁদের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই উপযুক্ত পদক্ষেপ করে প্রশাসন। ফলে যদি স্বাস্থ্য কর্মীদেরই অভাব থাকে সেক্ষেত্রে পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রেও খামতি থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকে তাঁদের। ফলে এই সমস্ত নিয়োগ যাতে ফেলে রাখা না হয় সেই দিকে উদ্যোগী প্রশাসন।

Primary Teacher Recruitment : নতুন বছরের আগেই সুখবর, প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ ১৯৫০
কবে নিয়োগ?

প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, এপ্রিল মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে। কারণ লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে আর কোনওভাবেই নতুন করে লোক নিয়োগ করা যাবে না। ফলে যাতে কোনওভাবেই এই পদগুলি পড়ে না থাকে, সেই দিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, একাধিক পুরসভায় রয়েছে শূন্যপদ। স্বচ্ছভাবে যাতে এই নিয়োগ হয় সেই বিষয়ে তৎপর প্রশাসন। নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়িত্বে রয়েছেন মহকুমা শাসক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version