নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়ায় ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর। একাধিকবার তাঁকে জিজ্ঞাসবাদ করে ইডি-সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থা। পরবর্তীকালে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতারির পর কিছুদিন প্রেসিডেন্সি জেলে থাকলেও কালীঘাটের কাকুর বর্তমান ঠিকানা এসএসকেএম হাসপাতাল। একাধিকবার হাসপাতালে গিয়ে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ইডি। এই নিয়ে চলছে রাজনৈতিক তরজা। আর এর মাঝে এসএসকেএম হাসপাতালে কালীঘাটের কাকুর ভর্তির থাকার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে।

কালীঘাটের কাকুকে নিয়ে মামলা

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র SSKM-এ অপ্রয়োজনে ভর্তি হয়ে বেড দখল করে রেখেছেন। ফলে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। রোগীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। তাঁর হাসপাতালে থাকার প্রয়োজনীয়তা নেই। এই অভিযো করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। মামলকারী এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলাকারীর দাবি, কালীঘাটের কাকু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকার কারণে তদন্তে দেরি হচ্ছে। তাঁকে ইডি হেফাজত দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এই মামলা গ্রহণ করেছেন। আগামী বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। আদালত এই মামলায় কী রায় দেয়, সেটাই এখন দেখার।

কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা

কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুন পরীক্ষা করতে গিয়ে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় ইডিকে। জোকার ইএসআই হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণকে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয় ইডি। কালীঘাটের কাকুকে জোকার হাসপাতালে নিয়ে যেতে সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছেছিল ইডির অ্যাম্বুল্যান্স। কিন্তু হঠাৎ করে শারীরিক সমস্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায় অ্যাম্বুল্যান্স।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইডির হাতে আসে একটি বিশেষ অডিয়ো রেকর্ডিং। সেখানে সুজয়কৃষ্ণর গলা রয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু এখনও তার কোনও প্রমাণ পাওয়া সম্ভব হয়নি। তদন্তে পাওয়া অডিয়ো রেকর্ডিংয়ের সঙ্গে সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখার জন্য।

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গোপাল দলপতির মুখে প্রথমবার শোনা যায় কালীঘাটের কাকুর নাম। কুন্তল ঘোষের কথার সূত্র ধরে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নাম শোনা যায়। পরবর্তীকালে আরেক ধৃত তাপস মণ্ডলের মুখেও শোনা যায় সুজয়কৃষ্ণের নাম। যদিও তিনি নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত নন বলে দাবি করেন সুজয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version