আদি-নব্য দ্বন্দ্ব নিয়ে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেস। তাড়িয়ে তাড়িয়ে তা উপভোগ করছে বিরোধী দলগুলো। লোকসভা নির্বাচনের আগে শাসক দলের ‘ঐক্য’ সংকটে খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। এবার তৃণমূল দলে আদি এবং নব্য কারা? নতুন করে চেনালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

বুধবার সকালে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই একটি ব্যঙ্গাত্মক চিত্রের সাহায্যে তিনি দেখান, আদি এবং নব্য তৃণমূল বলতে কী বোঝায়! আদতে চূড়ান্ত কটাক্ষ করেন তৃণমূলকে। চিত্রে দেখা যাচ্ছে নবীনের দলে রয়েছে কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া নেতারা। অন্যদিকে, প্রবীণের দলে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, মানিক ভট্টাচার্য, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো নেতারা। পাশাপাশি শুভেন্দু নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, ‘তোলামূলের দুই ভাগ, তবে একটি বিষয় পরিষ্কার, তোলামূলের আপাদমস্তক সবাই চোর!’

নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব

গত কয়েকদিনে এই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। একের পর এক নেতার প্রকাশ্যে মন্তব্যের জেরে আরও জটিল হয়েছে পরিস্থিতি। জটিলতা এমন মাত্রায় পৌঁছয়, কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হয় দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। যদিও সেই বৈঠকের নির্যাস সামনে আসেনি।

যদিও, মঙ্গলবার পর্যন্ত দলের অবস্থান নিয়ে ‘ঐক্যের’ বার্তাই দিয়েছেন রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, দলের মধ্যে এরকম কোনও মত পার্থক্য নেই। থাকলেও, সেটি দলের অভ্যন্তরে মিটিয়ে নেওয়া হবে। উপরন্তু, তৃণমূলের অভ্যন্তরের দ্বন্দ্ব নিয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি। আগামী দিনে লড়াইয়ের ময়দানে দলের সর্ব স্তরের নেতারাই এককাট্টা হয়ে লড়বেন বলে জানিয়ে দেন কুণাল।

Kunal Ghosh : ‘অন্ধভক্তি দেখাতে গিয়ে বিভাজন…’, কুণালের মন্তব্যে তোলপাড়
প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিক রাজনৈতিক সভায় গিয়ে তৃণমূলের অন্দরের এই বৈপরীত্য নিয়ে খোঁচা দিতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। দলের সিনিয়র-জুনিয়র লবির মধ্যে তৃণমূলে থাকাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী অবস্থানে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। তৎকালীন দলের যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চরমে ওঠা শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগ করার অন্যতম কারণ বলেও ব্যাখ্যা ছিল রাজনৈতিক মহলে। তবে সাম্প্রতিক তৃণমূলের দুই শিবিরের দ্বন্দ্ব আদৌ কতোটা উচ্চতায় পৌঁছবে, সেটা সময় বলবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version