আর কয়েক মাস পরেই লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিজেপিকে রুখতে ইন্ডিয়া জোট গড়ে লড়াইয়ের পথে এগোচ্ছে বিরোধীরা। একই টেবিলে মিলিত হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম-সহ বেশকিছু বিরোধী দল। কিন্তু কেন্দ্রীয়ভাবে কংগ্রেস-তৃণমূল কাছাকাছি এলেও রাজ্যে জোটের ভবিষ্যৎ কী, এই নিয়ে রীতিমতো সন্দিহান রয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। আবু হাসেম খান চৌধুরীর মতো কংগ্রেস নেতা তৃণমূলের সঙ্গে জোটের পক্ষে সওয়াল করলেও, প্রদেশ সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী অবশ্য আসন্ন নির্বাচনে ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে হাঁটতে নারাজ। এরই মাঝে জোট নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান।

মুখ খুললেন আবদুল মান্নান
কংগ্রেস ও সিপিএম-এর কোনও নেতার নাম না করে আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমি তো জোট চাইছি, একটা দিনের জন্য দেখাতে পারবে, আমি জোটের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আমি ট্রেনে যাতায়াত করি, আমার সঙ্গে বহু লোকের দেখা হয়। তারা বলে, আপনাদের সুবিধাবাদী নীতি কেন? আপনারা চাইছেন সিপিএম-কংগ্রেস একসঙ্গে হয়ে, তৃণমূল ও বিজেপিকে হঠাতে, আপনারাই কখনও সুবিধাবাদী হয়ে জোট ভাঙছেন, কখনও জোটে চলছেন, এটা মানুষের কাছে দ্বিচারিতা হয়ে যাচ্ছে না? জোট করার সময় যেমন একটা যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তেমনই ভাঙার সময়েও তো একটা যুক্তি দিতে হবে। হঠাৎ জোট হয়ে গেল, হঠাৎ জোট ভেঙে গেল, এ কী!’

‘বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে হবে’
বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, ‘মানুষের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে হবে। লোকে বলছে, কিছু মনে করবেন না, আপনাদের মতো পার্টিগুলো হচ্ছে সুবিধাবাদী। লোকে বলছে, তৃণমূল-বিজেপিকে হঠাতে চাই, কিন্তু মুশকিল হচ্ছে আপনারা আজকে জোট করছেন, কালকে চলে যাচ্ছেন।’ প্রসঙ্গত, রাজনৈতিকমহলের অনেকেই মনে করেন, বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে প্রথম দিন থেকে যাঁরা সওয়াল করে এসেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম আবদুল মান্নান। সেক্ষেত্রে আবদুল মান্নানের এদিনের মন্তব্য কংগ্রেস ও সিপিএম-এর জোটপন্থী নেতাদের মধ্যে বাস্তবেই কতোটা জোট গড়ার সদিচ্ছা রয়েছে, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলে দিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

‘নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব’ ইস্যুতে যা বললেন…
অন্যদিকে এদিন তৃণমূলের ‘নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব’ ইস্যু নিয়েও মুখ খোলেন আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, ‘এটা গট-আপ গেম। দুর্নীতি-টাকার পাহাড় যেভাবে চারিদিকে খবরে উঠে আসছে, সেগুলিকে চাপা দিতেই নতুন একটা ইস্যু তোলা হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version