শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বাড়িতে আচমকাই ‘অতিথি’ কুণাল ঘোষ। আর এই ত্রয়ীর সাক্ষাৎকার নিয়ে সরগরম বঙ্গ রাজনৈতিক মহল। তবে কি রাজনীতিতে নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়? তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। এরই মধ্যে মুখ খুললেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়।

কেন হঠাৎ শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন কুণাল ঘোষ? এই নিয়ে তাঁর কিছু জানা নেই বলেই স্পষ্ট করলেন। শোভন এবং বৈশাখীর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘দল নিলে আমার কি বলার থাকতে পারে!’ তবে দলের প্রতি গত কয়েক বছরে কোনও দায়িত্বই পালন করেননি শোভন, আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন রত্না।

তিনি বলেন, ‘একদমই ঘরে বসা ছিল। দলের কোনও কাজেই ছিল না। ও যে বিজেপিতে গেল এবং সেখান থেকে ছেড়ে এল তারপর তৃণমূলে ফেরার মতো কিছু করেনি। এখন দল যদি মনে করে ওকে ফিরিয়ে নেবে সেটা দলের সিদ্ধান্ত।’

রত্না আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় হয়তো তাঁর রাজনৈতিক জগতে ফেরার ইচ্ছে হয়েছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। হয়তো আবার তিনি ফিরতে চাইছেন।’ সব মিলিয়ে শোভন-বৈশাখী এবং কুণাল সাক্ষাৎ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এই সময় ডিজিটালের প্রতিনিধি কুণাল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে শোভন-বৈশাখীর সঙ্গেই কথা বলছি। এই নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করব না।’

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, চলতি বছর ভাইফোঁটাতেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অধুনা তাঁদের দেখা যায় না খুব একটা। উল্লেখ্য, কুণাল ঘোষ এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাক্যবাণ অতীতে অন্যতম চর্চার বিষয় ছিল।

২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ‘বৈশাখীর গ্ল্যাক্সো বেবি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন কুণাল ঘোষ। পালটা কুণালকে ‘পকেটমার’-এর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন শোভন। যদিও সেই সমস্ত তিক্ততা যে এখন অতীত তা এই সৌজন্য সাক্ষাৎকার থেকেই স্পষ্ট। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক এই মুহূর্তে নিশ্চিহ্ন বললেই চলে। তবে কি লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের হয়ে ফের সক্রিয় হবেন ‘কানন’? এখন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version