সরকারি বাংলো নিয়ে এবার বিস্ফোরক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতায় একটি সরকারি বাংলোতে নব নিযুক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে রাখার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সাজানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। পাশাপাশি, ওই বাংলোয় বর্তমানে উপবিষ্ট রাজ্যের তিন মন্ত্রী, বিধায়ককে ‘রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে’ বলেও অভিযোগ তাঁর।

কী অভিযোগ শুভেন্দুর?

শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এদিন জানান, কলকাতায় কোয়েস্ট মলের কাছে প্যালেটিয়াল সরকারি বাংলোতে প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে থাকার জন্য সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। তবে তাঁর অভিযোগ, এই বাংলোতে আগে বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জনাব আখরুজ্জামান, বিধায়ক জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লা এবং সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন থাকেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, তাঁদের সরিয়ে একজন অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিককে রাখা হচ্ছে।
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল প্রকৃতি। মুসলিম নেতারা নিছক মুখ, টিএমসি পার্টির ধর্মনিরপেক্ষ চেহারাকে উজ্জ্বল করতে এবং মুসলিম ভোটকে আকর্ষণ করার জন্য প্রয়োজন। ক্যামেরা বন্ধ থাকলে তাঁদের সঙ্গে অসম্মান করা হয়।’

বাংলো সাজানোয় বিপুল খরচ

এর পাশাপাশি সরকারি বাংলোটি রক্ষণাবেক্ষণ ও সুসজ্জিত করে তোলার জন্য বিপুল অর্থ খরচ করছে বলে দাবি করেন তিনি। ৭০০০ স্কোয়ার ফিট জায়গা জুড়ে থাকা এই বাংলো সাজাতে প্রায় ২ কোটি টাকা মতো খরচ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, তিনি দাবি করেন খাস কলকাতায় প্রাক্তন মুখ্যসচিবের আরও দুটি বাসস্থান থাকা সত্বেও তাঁকে এই বাংলো দেওয়া হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, ‘কেন এই মুসলিম মন্ত্রী ও বিধায়কদের শুধুমাত্র একজন কলঙ্কিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বসানোর দরজা দেখানো হয়েছে?’

Suvendu Adhikari : তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ কারা? ছবি দেখিয়ে চরম খোঁচা শুভেন্দুর
পালটা বললেন সাবিনা

বিষয়টি নিয়ে পালটা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান, এটা আমরা আগে থেকেই জানতাম ওখান থেকে আমাদের সরে যেতে হবে। তাছাড়া, আমাদের সরকারেরই এক প্রতিনিধি থাকবেন এতে অসুবিধা কোথায়? আমাদের সরকারের উপদেষ্টা হয়ে তো কাজ করবেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘ শুভেন্দু অধিকারীর কোনও কাজ নেই। তাই এই ছোট বিষয়কে উনি বড় করে দেখাচ্ছেন… ওনাদের সরকার তো আমাদের মুসলিম সমাজকে ছাগলের তৃতীয় সন্তান করে রেখে দিয়েছে। তাহলে ওঁর এখন এত দরদ উথলে উঠেছে কেন? ভোটের আগে ধর্মীয় ভেদ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। করে কোনও লাভ নেই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version