জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নেতাইয়ের শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এবার অভিষেককেই নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ডায়মন্ডহারবারে দাঁড়ালে আর জিতে আসতে হবে না অভিষেককে। বিজেপি লড়াই করলে তৃণমূল সেকেন্ড হবে। আর নওশাদ সিদ্দিকি লড়াই করলে অভিষেক থার্ড হবেন।

আরও পড়ুন- তৃণমূল নেত্রীর নেতৃত্বে দল ঐক্যবদ্ধ, নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক

রবিবার ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের পৈলানে একটি সভা ছিল অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের। সেখানে তাঁর কেন্দ্রের ৭৬ হাজার বয়স্ক মানুষকে বার্ধক্যভাতা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে ডায়মন্ডহারবারে যত কাজ হয়েছে তা প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্রেও হয়নি। এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটটা হতে দিন। লুঠ না করে গণতান্ত্রিকভাবে ভোটটা করতে দেন। তাহলেই দুধ আর জল আলাদা হয়ে যাবে। চ্যালেঞ্জ স্বীকার করলাম। ডায়মন্ডহারবারে পদ্মফুলে যে প্রার্থী হবে সে ওকে হারাবে। কয়লার টাকা, ঘুষের টাকা, লুটের টাকা বিতরণ করেছে। এই ১৬,৮০০ জন ডোনারের তালিকা চাই। তা না দিলে আয়কর দফতরের কাছে দাবি করবে, ওরা ফেক ডোনার। এটা এক ধরনের ঘুষ। এইভাবে ঘুষ দেওয়ার প্রচাষ্টা অত্যন্ত বিপজ্জনক।

নিজের লোকসভা কেন্দ্রে ভাতা দেওয়ার নামে ঘুষ দিচ্ছেন অভিষেক। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। আদালতের অনুমতি নিয়ে আজ নেতাইয়ে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে নেতাইয়ে শহিদের বেদীতে মাল্যদান করেন। তারপর সেখানে থেকে লালগড়ে মোমবাতি মিছিল করেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা বলেন, মোঘল পাঠানা হানাদাররা যেমন আমাদের দেশ চালাত। এক পরিবারকেন্দ্রীয় শাসন। সেরকম নিজের এলাকাকে শুধুমাত্র রাজ্য সরকারকে দিয়ে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। আর জঙ্গলমহলে জনজাতি, কুড়মিরা দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প ছুটে ছুটে জুতো ছিড়ে ফেলেছেন। তারা কেউ বার্ধক্যভাতার সুযোগ পাননি। যা করছেন ভালোই হচ্ছে। প্রদীপ নেভার আগে দপ করে জ্বলে ওঠে। প্রদীপ নিভবে। সময় হয়ে গিয়েছে। সময় টিক টিক করে জানান দিচ্ছে। চ্যাপ্টার ক্লোজ হতে চলেছে।  ২০১৯ সালে ডায়মন্ডহারবারে বিজেপির ১৯ জন মণ্ডল প্রেসিডেন্টকে ভোটের ২ দিন আগে মিথ্যে মামলায় আটকে দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও সাড়ে চার লাখ ভোটে পেয়েছে বিজেপি। এবার লড়াই হবে। ওকে ভাবতে হবে না। ওকে হারাব। আর নওশাদভাই যদি দাঁড়ায় তাহলে ও থার্ড হবে। আমি বলে দিলাম। আমাদের সঙ্গে আইএসএফের লড়াই হবে।

নেতাইয়ে শুভেন্দুর আসা নিয়ে মামলা গড়ায় আদালতে। শেষপর্যন্ত আদালতের নির্দেশ হতে নিয়েই নেতাইয়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে তিনি বলেন, পুলিস জানিয়ে দিয়েছিল, ৬ ও ৭ জানুয়ারি নেতাইয়ে তৃণমূলের বিপ্লব হবে। তাই আর কাউকে তাই আর কাউকে অনুমতি দেওয়া যাবে না। খুব কায়দা করে সব করেছে। ওখানে তৃণমূলের নেতারা ভাষণ দিয়েছে। শহিদদের ছবি ছিল না। প্রধানমন্ত্রীকে গালাগালি করেছে, আমার নাম না করে গালিগালাজ করেছে। অনেক আয়োজনের পরও লোক হয়েছিল মাত্র ২৩০। আমি আজ ওখানে গিয়েছিলাম। কোনও রাজনৈতিক কথা বলিনি। গঙ্গা জল দিয়ে শহিদ বেদী ধুয়েছি। ফুল দিয়েছি, ধূপ দিয়েছি। শহিদদের বাড়িতে গিয়েছি। শহিদ পরিবারের ২৫ জন আমার হাত থেকে সামান্য কিছু শীতবস্ত্র উপহার নিয়েছেন।   

শুভেন্দুর ওই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, গত ১০ বছরে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রকে একটা মডেল লোকসভা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছেন। ডায়মন্ডহারবারের মানুষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কাউকে চেনে না। আর ঘুষ দেওয়ার প্রসঙ্গে বলি, ওদের তো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কম্বল দেওয়ার নাম করে লোক আনতে হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কর্মীদের সহযোগিতায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। আর বিজেপি নেতারা বাংলা থেকে নির্বাচিত হয়ে দিল্লিতে গিয়ে বাংলাকে বঞ্চিত করার জন্য় তদবির করে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version