জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দীর্ঘদিন ভুগছিলেন ক্যানসারে, এরপর ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে, অবশেষে থামল যুদ্ধ। চোখের জলে বিদায় নিলেন উস্তাদ রশিদ খান(Ustad Rashid Khan)। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে প্রয়াত ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া গোটা সংগীত জগত সহ সংস্কৃতি মহলে। এদিন রশিদ খানের মৃত্যুসংবাদ পেয়েই হাসপাতালে ছুটে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবছর রশিদ খানকে ভাইফোঁটা দিতেন সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লা। ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সংগীতশিল্পী। 

আরও পড়ুন- Rashid Khan Passes Away: প্রয়াত বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী রশিদ খান…

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অপূরণীয় ক্ষতি। আমি নবান্নে এসে জানতে পারি। অল্প বয়সে চলে গেল, এটা খুব দুঃখের। আমার সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। অসুস্থ অবস্থাতেও ভয়েস মেসেজ পাঠাত। জানতে চাইত, দিদি তুমি কেমন আছ?” মুখ্যমন্ত্রী জানান, এদিন সন্ধ্যা ৬টা অবধি দেহ থাকবে হাসপাতালেই। এরপর ইন্দ্রনীল সেন, অরূপ বিশ্বাসরা প্রয়াত শিল্পীর দেহ নিয়ে পিস ওয়ার্ল্ডে রাখবেন। বুধবার সকাল ৯টায় পিস ওয়ার্ল্ড থেকে দেহ নিয়ে আসা হবে রবীন্দ্র সদনে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সেখানেই শায়িত থাকবে দেহ। বেলা ১টা নাগাদ গান স্যালুট দেওয়া হবে তাঁকে।

আরও পড়ুন- Rashid Khan Passes Away: ‘গায়ে কাঁটা দিচ্ছে ভেবে যে রশিদ নেই, আমি থাকব ওদের অভিভাবক হয়ে’

উস্তাদ রশিদ খানের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লা। প্রতিবছর রশিদকে ভাইফোঁটা দিতেন বর্ষীয়ান শিল্পী। জি ২৪ ঘণ্টার তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে ওর আত্মার সম্পর্ক ছিল। আমায় বড্ড ভালোবাসত সে। ওকে প্রতিবছর ভাইফোঁটা দিতাম, ওর সঙ্গে অনেক স্মৃতি। তপন সিনহার হুইলচেয়ার ছবিতে আমরা প্রথম একসঙ্গে গান গাই। সেই আমাদের প্রথম দেখা। ও কত গুণী সে নিয়ে কথা বলব না। ছেলেটা ভীষণ ভালো মানুষ ছিল, সবাইকে খুব ভালোবাসত, কাছে টেনে নিত। আমাকে অন্য চোখে দেখত। আমি পরমাত্মীয়কে হারালাম। আমার থেকে বয়সে কত ছোট! আমার খুব খারাপ লাগছে’।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version