বর্তমানে কর্মসূত্রে অনেকেই বিদেশে থাকেন। কাজের জন্য তাঁদের নিজেদের আত্মীয় স্বজনের থেকে অনেকটাই দূরে থাকতে হয়। অনেক সময় কাজ বা অন্যান্য কারণে আপনজনদের মৃত্যুর খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছতে পারেন না অনেকে। আর সেই সময়ই মৃতদেহ সংরক্ষণের প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে এতদিন সাধারণ মানুষকে ছুটে যেতে হত কলকাতা পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলে অবস্থিত মৃতদেহ সংরক্ষণ কেন্দ্রে।

অনেক সময় সেখানে মৃতদেহ সংরক্ষণের স্থান পাওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হত। এবারে সেই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এল হাওড়া পুরসভা। উত্তর হাওড়ার জি টি রোডের উপর সত্যবালা হাসপাতাল অঞ্চলে ১০টি মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য মরদেহ সংরক্ষণ কেন্দ্র সাইলেন্সের উদ্বোধন করা হয় বুধবার।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায়, স্থানীয় বিধায়ক গৌতম চৌধুরী, হাওড়া পুরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর মুখ্য প্রশাসক ড. সুজয় চক্রবর্তী স্থানীয় প্রাক্তন পৌরপিতা তথা বর্তমান প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য রায়চরণ মান্না সহ আরও অনেকেই।

কী ভাবে আবেদন?

হাওড়ায় এই পরিষেবা চালু হওয়ায় বহু মানুষ এক্ষেত্রে সুবিধা পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু, এক্ষেত্রে কী ভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব? সাধারণ মানুষ হাওড়া পুরসভার ওয়েবসাইট অথবা ৯১৬৩৬২৬৩৫০ নম্বরে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন।

এই সংরক্ষণ কেন্দ্রটি কি শুধুমাত্র হাওড়ার বাসিন্দাদের জন্য?
স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মনে। কিন্তু, আদতে এই সংরক্ষণ কেন্দ্রটি শুধুমাত্র হাওড়ার বাসিন্দাদের জন্য নয়। তা সকলেই ব্যবহার করতে পারেন। ফলে আশেপাশের জেলার মানুষরাও এতে উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এটিই রাজ্যের দ্বিতীয় মরদেহ সংরক্ষণ কেন্দ্র।

প্রথমটি রয়েছে কলকাতার পার্কস্ট্রিটে। এতদিন পর্যন্ত তাই দেহ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট একটি কেন্দ্রের উপরেই ভরসা করতে হত। ফলে বিপাকে পড়তে হত বহু মানুষকে। অনেক সময় সেখানে জায়গা পাওয়া যেত না। এই সমস্যার কথা প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের কাছে জানানো হয়।

এরপরেই সমস্যা সমাধানে তৎপর হয়ে ওঠে প্রশাসন। হাওড়াতেই একটি শবদেহ সংরক্ষণের জন্য জায়গা তৈরি করা হয়। এই উদ্যোগের ফলে শুধু হাওড়া নয়, আশেপাশের জেলাগুলির ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে বলে মনে করছে প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ। তাঁদের কথায়, ‘এই উদ্যোগের ফলে শুধু হাওড়া নয়, পাশ্ববর্তী জেলাগুলির সাধারণ মানুষেরও সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version