লোকসভা নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেলেও এখনও নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি কমিশনের পক্ষ থেকে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও কবে লোকসভা নির্বাচন, তার ‘খবর’ দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন BJP নেতা সুজিত দাস। তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্রে করে তুমুল চাপানউতোর তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।

শনিবার সিউড়ির জেলা বিজেপির কার্যালয়ে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলায় নেতা কর্মীরা। আর তাঁদের সামনেই উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন সুজিত দাস।

আমি যতটুকু খবর পেয়েছি আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ১৫ মের মধ্যে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে

সুজিত দাস

ঠিক কী বলেছেন BJP নেতা?
তিনি কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমি যতটুকু খবর পেয়েছি আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ১৫ মের মধ্যে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মোট আট দফায় এই নির্বাচন হতে চলেছে। প্রতিটি দফার নির্বাচনে রাজ্যের একাধিক লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনের দিন থাকবে। তবে দু’একদিনের হেরফেরও হতে পারে।’ অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের আগেই একপ্রকার নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দিলেন বিজেপি নেতা।

শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর
ভরা সভায় এভাবে বিজেপি নেতার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা নিয়ে রীতিমতো রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দলও। তৃণমূল বলছে, ‘এতেই বোঝা যায় বিজেপি সরকার সমস্ত ক্ষেত্রে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে।’

উল্লেখ্য, বীরভূম বরাবর বঙ্গ রাজনৈতির অন্যতম হাইলাইট থেকেছে। নেপথ্যে অন্যতম কারণ অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা কোনও নির্বাচনেই লড়াই করেননি। কিন্তু, বাংলার রাজনীতির অন্দরমহলে অন্যতম হেভিওয়েট নেতা ছিলেন তিনি।

কিন্তু, গোরু পাচারকাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। প্রথমে দীর্ঘদিন তিনি আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন। এরপর তাঁকে হেফাজতে নেয় ইডি এবং দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন তাঁর ঠিকানা তিহাড়। শুধু অনুব্রত মণ্ডল নয়, তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গোরু পাচার মামলায় তাঁর গ্রেফতারির জেরে দীর্ঘদিন বীরভূমের রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে তাঁকে। যদিও তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি এখনও তিনি।

Satabdi Roy : ‘লোকসভার আগে সময় দেন না’, দলের কাউন্সিলরদের উপরেই চটলেন শতাব্দী
অনুব্রতকে ছাড়াই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমে ভালো ফলাফল করেছিল তৃণমূল। গড়ে দেওয়া হয়েছিল একটি কমিটিও। কিন্তু, দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতির জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে দল। সেক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতি বীরভূমের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কতটা বদল হবে? সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলা রাজনীতির অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version