এই অনুমোদনের ফলে, এই লাইনে মেট্রো রেকগুলি EI ভিত্তিক সিগন্যালিং সিস্টেমে চালানো যেতে পারে। এটি ট্রেন পরিচালনায় নমনীয়তা সক্ষম করবে এবং পরিস্থিতির প্রয়োজনে পরিষেবার সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। এতে মেট্রো চালানো আরও সহজ হবে এবং প্রয়োজনে পরিষেবার সংখ্যাও বাড়ানো যেতে পারে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও লেখা হয়েছে, অরেঞ্জ লাইনের কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা খুব শীঘ্রই শুরু হবে।
এই প্রসঙ্গে মেট্রোর সিপিআরও কৌশিক মিত্র বলেন, ‘আপ লাইনে এতদিন অনুমোদন ছিল, এবার আপ ও ডাউন দু’টি লাইনেই CBCTC সিস্টেমে অনুমোদন দিলেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (CCRS)।’ এক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে দু’দিকেই মেট্রো চালানো যাবে বলে জানান কৌশিক মিত্র।
প্রসঙ্গত, একাধিক রুটে কাজ চলছে মেট্রোর। সম্প্রতি মাঝেরহাট স্টেশন থেকে তারাতলা পর্যন্ত মেট্রোর ট্রায়াল রান হল। এটি আসলে জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডোরের অংশ। গত শনিবার দুপুর ১২টা ১৬ মিনিটে তারাতলা স্টেশন থেকে ছেড়ে ১২টা ১৯ মিনিটে মাঝেরহাট স্টেশনে পৌঁছয় রেকটি। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, পরীক্ষামূলক ভাবে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে রেকটি চালানো হয়। এই দু’টি স্টেশনের মধ্যে দূরত্ব ১.২৫ কিলোমিটার। এদিনের ট্রায়াল রানে উপস্থিত ছিলেন মেট্রো রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি সফল ট্রায়াল রানের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিকারিকদের অভিনন্দনও জানান।
অন্যদিকে ইস্ট – ওয়েস্ট মেট্রো করিডোরেও চলছে সম্প্রসারণের কাজ। আগামীতে গঙ্গার তলা দিয়ে চলবে মেট্রো। সেক্ষেত্রে গঙ্গার তলার যাত্রাপথ কেমন হবে তার একটি নমুনা ভিডিয়োও ইতিমধ্যে মেট্রোর তরফে শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে গঙ্গার নীচে সুড়ঙ্গে প্রবেশ করার পরেই চারিদিকটি নীল আলোয় ভরে উঠছে। পাশে দেখা যাচ্ছে মাছ, ঠিক যেন অ্যাকোরিয়াম। এককথায় বলতে গেলে জলের নীচের সফরকে উপভোগ্য করে তোলার চেষ্টা করছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।