মেট্রো সম্প্রসারণের জন্য দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের একটা অংশ ভাঙার প্রয়োজন রয়েছে বলে রাজ্যকে জানিয়েছে রেল। আর রেলের সেই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’আমার রক্ত থাকতে দক্ষিণেস্বরের স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না। আমি অনেক কষ্ট করে, ৮ থেকে ১০টা মিটিং করে, এমনকী কোর্টে কেস পর্যন্ত হয়েছে, সেটা আমরা জিতেছিলাম। ওখানে অনেক হকার ছিলেন, সাধারণ মানুষ ছিলেন, তাঁদের সবাইকে বুঝিয়ে, বিকল্প ব্যবস্থা করে, তারপর অনেক কষ্ট করে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের যানজট পরিষ্কার করার জন্য, লাখ লাখ পুণ্যার্থী আসেন, এই স্কাই ওয়াক তৈরি করেছিলাম। ওটা আমার হৃদয়ের মণিমুক্তর মতো।’ মমতা বলেন, ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা আমাদের কাজ না, ওটা পুরোহুতদের কাজ, সাধুসন্তদের কাজ। আমাদের কাজ পরিকাঠামোর উন্নতি করা। বিল্ডিং ডেভলপ করা।’

মেট্রো প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় ইস্ট-ওয়েস্ট প্রকল্প হচ্ছিল না। কারণ ওদের প্ল্যান ছিল ডালহৌসির ওপর দিয়ে বড়বাজার পুরো ভেঙে দিয়ে যাওয়ার। আমি বললাম ওখানে কোটি কোটি মানুষ থাকেন, আমি বুলডোজার চালাতে পারবো না। এরপর আমি রুট বদলাই। তাতে কোনও মানুষের কোনও অসুবিধা হয়নি। এমনকী আপনারা এটাও দেখেছেন কলেজ স্ট্রিটে কাজের সময় কতবার ধস নেমেছে, আমি ছুটে গিয়েছি তাদের সাহায্য করা জন্য।’

রাজ্যকে দেওয়া আরভিএনএল-এর চিঠি

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দমদম থেকে গড়িয়া মেট্রো রেলের যত প্রকল্প সব আমার করা। দক্ষিণেশ্বর – নোয়াপাড়া আমিই উদ্বোধন করে এসেছিলাম। জোকা থেকে তারাতলা, তারাতলা থেকে ধর্মতলা, ধর্মতলা থেকে দমদম একইসঙ্গে যুক্ত হবে, এটা আমার করা। আমি ২০০৯ সালে করে দিয়ে আসার পর ১৫ বছর… একটু করে করছে, উদ্বোধন করে ছবি লাগাচ্ছে, যেন অসুস্থ রোগী, তাকে একটু করে চামচে দিয়ে জল দিচ্ছে।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও অভিযোগ, ‘বলছে বেহালা করব তখনই, যখন বডিগার্ড ভাঙা হবে। কেন আমি ভাঙব? বডিহার্ড পুলিশের একটা হেরিটেজ। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে একবালপুর – বডিগার্ড, এই জায়গাটাকে আমরা জমে যাওয়া জলমুক্ত করেছি। তার পাশেও তো অনেক জায়গা আছে। ডিফেন্সের অনেক ডায়গা আছে, রেড রোডের ওপর দিয়ে। ওরা রেড রোডের পাশ দিয়ে জায়গা দিতেই পারে। অনেক জায়গা পড়ে আছে, আমাকে বললে আমি জায়গা দেখিয়ে দেব। সম্পূর্ণ সহযোগিতা আমাদের পক্ষ থেকে আছে। কিন্তু বডিগার্ড ভাঙতে দেব না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version