এই সময়: বেআইনি ভাবে তৈরি হওয়া আবাসন ভাঙার কাজ শুরু করল বিধাননগর পুরনিগম। এর আগে সল্টলেকের সুকান্তনগরে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছিলেন পুরকর্মীরা। সেকারণেই মঙ্গলবার সকালে বাগুইআটি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কেষ্টপুর রবীন্দ্রপল্লির একটি পাঁচতলা আবাসনে যান পুর কর্মীরা। তবে এদিন পুরকর্মীদের কেউ বাধা দেয়নি।
পুরনিগমের বিল্ডিং বিভাগের এক কর্তা বলেন, নিয়ম না মেনে তৈরি হয়েছে ফ্ল্যাট। একাধিকবার ওই ফ্ল্যাটের প্রোমোটার অভিজিৎ পোদ্দার এবং জমির মালিককে নোটিস দেওয়া হলেও তারা আসেননি। সেই কারণেই ওই নির্মাণ ভাঙার সিদ্ধান্ত। পুরনিগমের এই পদক্ষেপে রাতের ঘুম উড়েছে সেই ক্রেতাদের, যাঁরা ওখানে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। যে বাড়িটি ভেঙে ফ্ল্যাট নির্মাণ হয়েছে, সেই বাড়ির তরফে কল্যাণী বসাক বলেন, ‘আমাদের কোনও পজেশন লেটারও দেওয়া হয়নি। এখন আমরা যাব কোথায়?’
পুরনিগমের বিল্ডিং বিভাগের এক কর্তা বলেন, নিয়ম না মেনে তৈরি হয়েছে ফ্ল্যাট। একাধিকবার ওই ফ্ল্যাটের প্রোমোটার অভিজিৎ পোদ্দার এবং জমির মালিককে নোটিস দেওয়া হলেও তারা আসেননি। সেই কারণেই ওই নির্মাণ ভাঙার সিদ্ধান্ত। পুরনিগমের এই পদক্ষেপে রাতের ঘুম উড়েছে সেই ক্রেতাদের, যাঁরা ওখানে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। যে বাড়িটি ভেঙে ফ্ল্যাট নির্মাণ হয়েছে, সেই বাড়ির তরফে কল্যাণী বসাক বলেন, ‘আমাদের কোনও পজেশন লেটারও দেওয়া হয়নি। এখন আমরা যাব কোথায়?’
গত কয়েকমাসে বিল্ডিং প্ল্যান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রচুর মামলা হয়েছে বিধাননগর পুরনিগমের বিরুদ্ধে। অনুমতি ছাড়াই একাধিক বিল্ডিং তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। রাজারহাট-গোপালপুর এলাকাতেই এই সমস্যা বেশি। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘আমাদের স্ট্যাম্প এবং আধিকারিকদের সই পর্যন্ত জাল করে সেই নকশার ভিত্তিতে বিল্ডিং তৈরি হয়েছে। সেখানে ব্যাঙ্ক লোনও দিয়েছে ওই জাল নকশার ভিত্তিতে। এখনও প্রোমোটারদের একাংশ এটা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
সেই ঘটনা ঠেকাতেই কয়েক মাস আগে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, জাল নথি দিয়ে তৈরি ফ্ল্যাট কিনলে তার পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থা থেকে শুরু করে মিউটেশন দেওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং বিধাননগরে ফ্ল্যাট কিনতে হলে অবশ্যই খোঁজখবর নিয়ে ফ্ল্যাট বুক করুন।