এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘২০১৯ সালের পর থেকে তৃণমল সরকার ধারাবাহিকভাবে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে। রাস্তার টাকা, আবাসের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। রাজ্য থেকে চার লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র তুলে নিয়েছে। বাংলার মানুষকে নিপীড়িত করার চক্রান্ত চালানো হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমার কোন ধর্ম নেই। আমার একটাই ধর্ম মানব ধর্ম। মানুষকে পরিষেবা দেওয়া আমার কাজ। যাকে ইচ্ছে ভোট দেবেন। কিন্তু, ধর্মের নামে নয়, কর্মের নামে ভোট দিতে হবে।’
গণতন্ত্রে মানুষই যে শেষ কথা বলে, তা দাবি করেছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘ বাংলায় জিততে পারেনি বলে বিজেপি সরকার বাংলার মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করছে। যে সমস্ত রাজনৈতিক দল সম্মান অর্জন করতে পারে না, তারা ধর্মের নামে ভোট চায়। মানুষের হৃদয়ে তারা প্রতিপত্তি প্রভাব খাটাতে পারেনি।’ দল বিভাজনের বার্তা কোনওদিন দেয়নি। বরং একতার বার্তা দিয়েছেন বলে জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন একতার বার্তা দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা দুর্গাপুজোর সময় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আনন্দ করি। তেমনই ঈদের সময়ও আনন্দ করি।’
এদিনের সংহতি মিছিল থেকে নাখোদা মসজিদের ইমাম জানান, ভারতে একদিকে যেখানে ঘৃণার অন্ধকার বাড়ছে সেই সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই অন্ধকার দূর করার চেষ্টা করছেন। কারও ‘মন কি বাতে’ দেশ চলবে না বরং আইন-নিয়মে চলবে বলে জানান তিনি। নাখোদা মসজিদের ইমামের কথায়, ‘আমার নেত্রীকে না চিনলে হিন্দুস্তান সমস্যায় পড়বে।
এদিন বৌদ্ধ ধর্মগুরু বলেন, ‘ ২০২৪ সালের নির্বাচন ঠিক করে দেবে মানুষ কী চায়।’ খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুর কথায়, বাংলার বুকে শান্তির দূত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্ত মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে চলার জন্য যা যা করার আমরা করব। এদিনের খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুর কথায়, ‘বাংলার বুকে শান্তির দূত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্ত মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে চলার জন্য যা যা করার আমরা করব।’