সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করে বিদেশে পাড়ি দিল বাংলার রাধাবল্লভী, মালপোয়া, গজা এবং মুড়কি। এই নোনতা এবং মিষ্টির ‘কম্বো’-র বিদেশে পাড়ি দেওয়ায় খুশি প্রবাসী ভারতীয়রা। বিদেশে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে এই খাবারগুলিতে কামড় বসানোর আনন্দ পাবেন তাঁরা।

বাঙালি মানেই খাওয়া-আড্ডা। আর প্রাতঃরাশে যদি হয় রাধাবল্লভী, মালপোয়া,মুড়কি তাহলে আর আর কী চাই! কিন্তু, বিদেশে গিয়ে এই খাবারগুলির জন্য হাত কামড়াতে হয় অনেককেই। এবার সেই অভাব মিটতে চলেছে। এতদিন পর্যন্ত বিদেশে পাড়ি দিল জয়নগরের মোয়া, পাটালি ইত্যাদি। ইউরোপের একাধিক দেশ এই মিষ্টিগুলিতে মাতোয়ারা ছিল। অন্যান্য খাবারগুলি বিদেশে পাঠানো হত না আইনি জটিলতার কারণে।

জানা গিয়েছে, রাধাবল্লভী, মালপোয়া বিদেশে পাঠানোর আগে উপযুক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। এরপরেই তা বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, উপযুক্ত নিয়ম মেনে তা পাঠানো হয়েছে সাত সমুদ্র তেরো নদীর পাড়ে। ডেনমার্ক, সুইডেন সহ একাধিক দেশে গজা, রাধাবল্লভী, বোঁদে, মালপোয়া পাঠানো হয়েছে। প্রায় ৫০ কেজি করে এই খাবারগুলি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি বিদেশে পাঠানো হয়েছে ১৫ কেজির মতো মুড়কিও। এছাড়াও আরও বরাত দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

আর এতেই রফতানি সংস্থাগুলি ব্যাপক খুশি। শীতের সময় সাধারণ গুড়ের মিষ্টিগুলির ব্যাপক চাহিদা থাকে। যেমন অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে তেমন মিষ্টি বিদেশে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান এক রফতানি সংস্থার মালিক। তিনি আরও বলেন, ‘আগামীদিনে বাংলার এই খাবারগুলির চাহিদা বিদেশে আরও বাড়বে বলে মনে করছি।’

এই প্রথমবার নয়, এর আগে পুজোর সময় পরীক্ষামূলকভাবে কিছু মিষ্টি বিদেশে পাঠানো হয়েছিল। এরপর সেখানকার দোকান এবং মলগুলিতে নির্দিষ্ট কিছু দোকানে তা রাখা হয় এবং এক্ষেত্রে ভালো সাড়াও পাওয়া গিয়েছিল। এরপর তা যাতে বিদেশে রফতানি করা যায় সেই জন্য আইনি ছাড়পত্রের আবেদন করা হয়েছিল। আর তা জোগাড় করারক পরেই এখন এই খাবারগুলি বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে।

আগামীদিনে এই খাবারগুলির পাশাপাশি আরও কিছু খাবার বিদেশে রফতানি করা যায় কিনা, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জয়নগরের গজা এবং মালপোয়া সহ বিভিন্ন মিষ্টি বিদেশে পাঠানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে। বিশেষ প্যাকেজিংয়ে করে তা পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে। স্বাভাবিকভাবেই প্রবাসী বাঙালিদের জন্য তা অত্যন্ত খুশির খবর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version