এরপরেই প্রশ্ন উঠছিল ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে মুর্শিদাবাদের দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর ৪২টি আসনেই লড়াইয়ের জন্য প্রস্ততি রাখার বার্তা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ফের একবার একা লড়াইয়ের বার্তা শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘ওরা কখনও ১০ টা কখনও ১২ আসন চাইছে।’ তাঁর এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কি বাংলায় আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে নয়া কোনও পন্থা নেওয়া হবে?
মঙ্গলেই একদিকে যখন অধীর চৌধুরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন সেই সময় তৃণমূল সুপ্রিমোর উদ্দেশে ইতিবাচক বার্তা দিতে শোনা গিয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। অধীরের দাবি ছিল, বিজেপির সঙ্গে ভোট ভাগাভাগি করে নিতে চাইছে তৃণমূল। সিপিএম একটি বাহানামাত্র। তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সাল থেকে শুরু করে ২০২১ সাল, এর আগেও এই রাজনীতি করা হয়েছে। কারও উপর ভিত্তি না করে কংগ্রেস সাবলম্বীভাবে নির্বাচনে লড়বে বলেই জানান তিনি। যে দুটি আসনে কংগ্রেস লড়ছে সেই আসনগুলিতে বিজেপি এবং তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিল হাত শিবির, বার্তা তাঁদের।
এদিন রাহুল গান্ধীও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোটে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও আলোচনা করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার ও দলের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কখনও কখনও কেউ কেউ কিছু বলে। এর কোনও প্রভাব পড়বে না।’ রাহুলের এই ইতিবাচক বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছিল।
কিন্তু, এরই মধ্যে আবার ৪২ট়ি আসনেই লড়াই বার্তা শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। স্বাভাবিকভাবেই NDA -এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যে জোট গঠন করা হয়েছে সেই ইন্ডিয়ার ভবিষ্যৎ ঠিক কী হতে চলেছে? এবং তারা আসন ভাগাভাগির জন্য ঠিক কোন পন্থা বেছে নেয়? এখন তাই দেখার।