নতুন বছরেই বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক উল্লেখযোগ্য ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত রাজ্যবাসী দুয়ারে সরকার এবং সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে আবেদন করেছিলেন তাঁদের ৬টি প্রকল্পে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সুবিধা দেওয়া হবে। এর মধ্যে ১৩ লাখ মহিলা নতুন করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাবেন। যাঁরা পাচ্ছিলেন না এতদিন এই প্রকল্পের সুবিধা তাঁরা পাবেন। ৯ লাখ মানুষ বার্ধক্যভাতা পাবেন, ৭ হাজার মানুষ মানবিক ভাতা পাবেন, কন্যাশ্রী প্রকল্পে সংযুক্ত করা হবে আরও ১০ লাখ। অর্থাৎ ৮৫ লাখ থেকে সংখ্যাটা ৯৫ লাখ হতে চলেছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমি সেঞ্চুরি দেখতে চাই।’ রূপশ্রী প্রকল্পে আরও ৮৫ হাজার মহিলা যুক্ত হতে চলেছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

লোকসভা নির্বাচন শুরু হলে নতুন করে কোনও প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা সম্ভব হবে না। ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে এই ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই খুশির ঢেউ সাধারণ মানুষের মধ্যে। পাশাপাশি WBCS, UPSC-র মতো সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার জন্য জেলায় জেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে সরকারি উদ্যোগে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান সেই কথা। SC-ST পড়ুয়ারা সেখানে পড়তে পারবেন। জেলায় জেলায় ৫০টি ইনস্টিটিউট তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন ফের একবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র টাকা আটকে রাখলেও রাজ্য নিজের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি চালু রেখেছে বলে জানান তিনি। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘কাটোয়া মহকুমার হাসপাতালে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি কোভিড ওয়ার্ড তৈরি করা হচ্ছে। আমাদের মতো সমাজ সেবা কেউ করেনি। শস্যবীমার টাকা এখন দেয় রাজ্য সরকার। গ্রামীণ রাস্তায় তুলে দেওয়া হয়েছে টোল ট্যাক্স।’

উল্লেখ্য, এদিন বর্ধমানে যাওয়ার পথে উল্লেখযোগ্য ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় একাই লড়াই করবে তৃণমূল, স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ বাংলায় ইন্ডিয়া জোট লাগু হবে না, বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমোর। সেক্ষেত্রে জাতীয় প্রেক্ষাপটে ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলের রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক কী হতে চলেছে? তা নিয়ে জল্পনা চলছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version