দেবাশিস দাস

বেহালার সিরিটি শ্মশানের পাশ দিয়ে আদি গঙ্গা বয়ে গেলেও, সেই জল এতটাই নোংরা যে মৃতের পরিজনেরা দাহ কার্যের পরে সেখানে মৃত দেহের অস্থি ভাসাতে চান না। অনেকেই জাজেস ঘাটে যেতে বাধ্য হন। তাই নাগরিকদের ইচ্ছাপূরণ করতে সিরিটি শ্মশানে জলাশয় খনন করে তাতে গঙ্গার জল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।

পাশাপাশি কেওড়াতলা মহাশ্মশানের চাপ কমাতেও সিরিটিতে বৈদ্যুতিক চুল্লি বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সিরিটি শ্মশান চত্বরকে ঢেলে সাজা হচ্ছে। কেওড়াতলার আদলেই গড়ে তোলা হচ্ছে সিরিটকে। বাড়ানো হচ্ছে শ্মশানের এলাকাও। এ জন্য পুরসভা বেশ খানিকটা জমিও অধিগ্রহণ করেছে।

কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন,‘সিরিটি শ্মশানের সৌন্দর্যায়ণের কাজ শুরু হচ্ছে। শ্মশানের পাশে যে আদি গঙ্গা রয়েছে, তার জল এতটাই নোংরা যে মানুষ সেখানে মৃত পরিজনের অস্থি ভাসাতে চান না। তাই শ্মশান চত্বরে একটি নতুন পুকুর খনন করা হবে। ওই পুকুরে গঙ্গা থেকে পুরসভার ট্যাঙ্কে করে জল এনে নিয়মিত ঢালা হবে।’

শ্মশানের চুল্লির চিমনিতে আগুন
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন সিরিটি শ্মশানে দু’টি বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে। আরও নতুন দু’টি চুল্লি নির্মাণ করা হবে। এখন ওই শ্মশানে কোনও কাঠের চুল্লি নেই। তাই নতুন করে কাঠের চুল্লি তৈরি করা ছাড়াও একটি বিশ্রামাগার হচ্ছে। তাতে এয়ার কন্ডিশন থাকবে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জায়গা থাকবে। তৈরি করা হবে বাগান।

আলো দিয়ে সাজানো হবে গোটা শ্মশান চত্বরকে। মিউজিক্যাল সিস্টেমও থাকবে সেখানে। আগামী ২৭ জানুয়ারি, শনিবার থেকে সিরিটি মহা শ্মশানের এই সৌন্দর্যায়ণের কাজ শুরু হবে। ওই দিন বেলা এগারোটা নাগাদ এই কাজের সূচনা করবেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অনুষ্ঠানে থাকবেন দক্ষিণ কলকাতার সংসদ তথা কলকতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version