বন দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে জঙ্গল সাফারিতে গিয়েছিল পর্যটকদের একটি টিম। সাফারি করার ফাঁকেই তাঁদের গাড়ির কাছে দর্শন মেলে বাঘ মামার। যা দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন পর্যটকরা। হওয়ারই কথা! প্রায় কয়েক দশক পর বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে সশরীরে দেখা মিল তাঁর। যদিও, পর্যটকদের গাড়ির সমানে অল্প কিছুক্ষণের জন্য এসেছিল রয়াল বেঙ্গল টাইগার।
বাঘ নিরীক্ষণ করার জন্য বক্সার জঙ্গলে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থা করেছে বন দফতর। এর আগে একাধিকবার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বাঘ। বন দফতর জানিয়েছে, বছর তিনেক আগে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর বক্সায় একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘের ছবি ধরা পড়েছিল ক্যামেরায়। এরপর গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষদিকে বক্সায় একাধিকবার বাঘের ছবি ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল। তবে ওই পর্যন্তই। ক্যামেরায় ছবি দেখেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে হয়েছে।
দীর্ঘ প্রায় দুই দশক ধরে পর্যটকরা বক্সায় সাফারি করার সময় বাঘ দেখতে পাননি। ডুয়ার্সের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাঘের অবস্থান থাকলেও বক্সায় বাঘের দর্শন সামনে থেকে পাননি পর্যটকরা। সাফারি গাড়ির চালক থেকে শুরু করে গাইড, সবার বক্তব্য একই। শেষ ২২-২৩ বছর বাঘ দেখার সুযোগ হয়নি একসময়ের বাঘের ডেরা বক্সায়। বক্সার জঙ্গলে পর্যটকরা মূলত হাতি, সম্বর, হরিণ, লেপার্ড ও অন্যান্য প্রাণী দেখতে পেলেও এতদিন বাঘমামার দেখা পাননি। এবার সেই সুযোগও মিলল সামনে থেকে।
ডিসেম্বর মাসেই পূর্ণ বয়স্ক বাঘের ছবি ধরা পরে ট্র্যাপ ক্যামেরায়। পরপর দুদিন বাঘের ছবি দেখতে পাওয়া যাওয়ায় খুশি হন বন দফতরের কর্তারা। বাঘের জন্য গত কয়েক বছরে জঙ্গলে হাজারের বেশি হরিণ ছাড়া হয়। বাঘের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেলেও সামনে থেকে দেখতে না পাওয়া যাওয়ায় অখুশি ছিলেন বন দফতরের কর্মীরাও। তবে এবার বাঘ দেখতে পাওয়া যাওয়ায়রাজাভাতখাওয়া পশ্চিমের রেঞ্জার অমলেন্দু মাঝি সংবাদমাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।